সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশ রক্ষায় বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যটক সীমিত করার পাশাপাশি রেজিস্ট্রেশন বা অনুমতি ছাড়া কোনো পর্যটক দ্বীপটিতে যেতে পারবে না।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে ‘সেন্টমার্টিন দ্বীপে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে কনসালটেশন’ শীর্ষক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুল হামিদ এসব কথা বলেন।

মহাপরিচালক বলেন, পাহাড় কাটা ও জলাশয় ভরাটের বিষয়ে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। এটার জন্য জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে। দেশের নদীগুলোর দূষণ নিয়ে আমরা কাজ করছি। নদীগুলোকে দুষণমুক্ত রাখার জন্য ইতিমধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

আব্দুল হামিদ বলেন, সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত করে পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি সেখানকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য কাজ করা হবে। কক্সবাজার শহরকে গুরুত্ব দিয়ে প্লাস্টিক মুক্ত করার জন্য খুব দ্রুত কাজ শুরু করা হবে বলেও জানান পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। এসময় সাগরকে প্লাস্টিক মুক্ত রাখতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

ইউনিডোর সহযোগিতায় পরিবেশ অধিদপ্তর আয়োজিত সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন ইউনিডোর বাংলাদেশ প্রধান ড. জাকি উজ্জামান, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গনি ওসমানী, বাংলাদেশে টেকসই প্লাস্টিক ব্যবহার এবং সামুদ্রিক লিটার প্রতিরোধের দিকে সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গির জাতীয় প্রকল্প পরিচালক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. সোলেমান হায়দার, পরিচালক (এনভি. ক্লিয়ারেন্স) মাসুদ ইকবাল মো. শামীম, কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সারোয়ার আলম, ইউএনডিপির হেড অব এক্সপেরিমেন্টেশন রমিজ উদ্দিন, বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দীপু প্রমুখ।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *