নভেম্বর ১৫, ২০২৪

পুঁজিবাজারে মিউচুয়াল ফান্ড ব্যবস্থাপনাকারী প্রতিষ্ঠান (এএমসি) রেইস ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত বিভিন্ন ফান্ডের অননুমোদিত সব বিও (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স) হিসাব স্থগিত করা হয়েছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সোমবার (২৪ জুন) এক আদেশে এ নির্দেশনা জারি করেছে।

এর ফলে রেইস ম্যানেজমেন্টের তত্ত্বাবধানে থাকা মিউচুয়াল ফান্ডের হেফাজতকারী বা কাস্টডিয়ানের অনুমোদন ছাড়া যেসব বিও হিসাব খুলেছে, সেগুলোতে আর কোনো লেনদেন করতে পারবে না।

বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেন। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, হেফাজতকারীর অনুমোদনের বাইরে রেইস ম্যানেজমেন্ট বেশ কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউসে বিও হিসাব খুলে তাদের তত্ত্বাবধানে থাকা বিভিন্ন মিউচুয়াল ফান্ডের বিপরীতে ধারণ করা শেয়ার লেনদেন করছে। রেইসের কার্যক্রম তদারকির জন্য বিএসইসি গঠিত তদন্ত কমিটির প্রাথমিক তদন্তে এ তথ্য মিলেছে। এ কারণে মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটধারীদের স্বার্থ সুরক্ষায় অননুমোদিত এসব বিও হিসাব স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে রেইসের তত্ত্বাবধানে থাকা বিভিন্ন মিউচুয়াল ফান্ডের হেফাজতকারী ও ট্রাস্টিকে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

রেইসের বিভিন্ন তহবিলের বিপরীতে বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসে অনুমোদিত যেসব বিও হিসাব রয়েছে, সেগুলো নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য তহবিলের ট্রাস্টিদের নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি। পাশাপাশি এসব বিও হিসাবের বিস্তারিত প্রতিবেদন সাত দিনের মধ্যে কমিশনে জমা দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া রেইসের তত্ত্বাবধানে থাকা মিউচুয়াল ফান্ডের হেফাজতকারী বা কাস্টডিয়ানকে অননুমোদিত সব বিও হিসাব বন্ধ করে সেখানে থাকা সব সিকিউরিটিজ সাত দিনের মধ্যে অনুমোদিত বিও হিসাবে স্থানান্তরেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। অর্থাৎ বৈধ অনুমোদন ছাড়া যেসব বিও হিসাব খোলা হয়েছে, সেগুলো বন্ধ করে সেখানকার সব শেয়ার বৈধ বিও হিসাবে স্থানান্তরের জন্য কাস্টডিয়ানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া রেইসের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে ১০ দিনের মধ্যে তাদের পদক্ষেপ ও সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে কমিশনে হালনাগাদ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

রেইসের তত্ত্বাবধানে বর্তমানে ১০টি মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড রয়েছে। আর দুটি বেমেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড রয়েছে। এসব ফান্ডের আকার প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা। রেইস ম্যানেজমেন্টের তত্ত্বাবধানে যেসব মেয়াদি ফান্ড রয়েছে, সেগুলো হচ্ছে ইবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, আইএফআইসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচুয়াল ফান্ড, পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, পিএইচপি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, ইবিএল এনআরবি মিউচুয়াল ফান্ড, এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড ও এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। আর বেমেয়াদি দুটি ফান্ড হলো রেইস ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ইউনিট ফান্ড ও রেইস স্পেশাল অপরচ্যুনিটি ইউনিট ফান্ড।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...