ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের রুপিতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে। উদ্বোধনের পর পরই দুইটি প্রতিষ্ঠান রুপিতে এলসি খুলেছে। বাংলাদেশ থেকে তানিম এগ্রো লিমিটেড ১৬ মিলিয়নের বেশি রপ্তানি এলসি ও নিতা কোম্পানি লিমিটেড প্রায় ১২ মিলিয়নের এলসি খুলেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রুপিতে লেনদেন চালু হয়েছে। ইতিমধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠানের এলসি খোলা হয়েছে।

জানা যায়, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে রপ্তানি ও আমদানি করার লক্ষে এলসি খোলায় লেনদেন শুরু হল।

তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বছরে ১৬ বিলিয়ন ডলারের মতো বাণিজ্য হয়। এর মধ্যে ২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য বাংলাদেশ রপ্তানি করে এবং ১৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য বাংলাদেশ আমদানি করে। তবে রুপিতে লেনদেনের কারণে বাংলাদেশের কোনো লাভ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ব্যাপকভাবে ডলারের দাম বাড়তে থাকে। দেশের মধ্যে ডলার সংকট চরম আকার ধারণ করে। চাপ সামাল দিতে ডলারকে পাশ কাটিয়ে নিজস্ব মুদ্রায় বাণিজ্য করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এলক্ষ্যে মঙ্গলবার (১১ জুলাই) থেকে ভারতীয় মুদ্রা রুপিতে লেনদেন শুরু হয়েছে।

এদিন বাংলাদেশ ব্যাংক ও ভারতীয় হাইকমিশনের যৌথ আয়োজনে রাজধানীর একটি বেসরকারি হোটেলে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাণিজ্যের এই নতুন পদ্ধতি চালু করেছে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, ডেপুটি গভর্নর, বিভিন্ন ব্যাংকের এমডি এবং ভারতীয় হাইকমিশমনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছেন।

জানা যায়, এই লেনদেন শুরু হওয়ার পর রপ্তানি আয় বাবদ যে পরিমাণ রুপি আসবে, সমপরিমাণ আমদানি দায় নিষ্পত্তি করতে পারবে ব্যাংক। আবার স্বল্পমেয়াদি রুপির ঋণ নিয়ে আমদানি করা যাবে। এতে ডলারের ওপর সৃষ্ট চাপ সাময়িকভাবে কমবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশের সোনালী, ইস্টার্ন ও ভারতের স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে রুপিতে লেনদেন করতে পারবেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। ভারত অংশে এ সম্পর্কিত বিষয়ের দায়িত্বে থাকবে দেশটির আইসিআইসি ব্যাংক এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া। রুপিতে লেনদেনের চাহিদা বাড়লে পর্যায়ক্রমে অন্য ব্যাংককেও অনুমতি দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...