বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাস সোমবার সন্ধ্যায় ডিপ্লোম্যাটিক কোয়ার্টারের কালচারাল সেন্টারে এক সংবর্ধনার আয়োজন করে। মহান স্বাধীনতা দিবস এ বছর পবিত্র রমজান মাসে হওয়ায় গতকাল এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিদেশি অতিথিরা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বাংলাদেশি সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে রিয়াদের ডেপুটি গর্ভনর ড. ফয়সাল বিন আব্দুল আজিজ আল সুদাইরী উপস্থিত ছিলেন।
সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রটোকল বিভাগের ডেপুটি মিনিস্টার আব্দুল মাজিদ বিন রাশিদ আল সামারী, সৌদি বাংলাদেশ সংসদীয় ফ্রেন্ডশিপ কমিটির চেয়্যারম্যান খালেদ মোহাম্মদ আল বাওয়ার্দীসহ শূরা কাউন্সিলের সদস্যরা, সৌদি আরবের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও চেম্বার প্রতিনিধিরা সংবর্ধনায় যোগ দেন।
সংবর্ধনায় রিয়াদের বিভিন্ন মিশনের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকরা যোগ দেন। এছাড়া বাংলাদেশ কমিউনিটির চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার শতাধিক অভিবাসী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) গভীর শ্রদ্ধায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাসের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী সৌদি আরবে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানের জন্য সৌদি বাদশাহ ও ক্রাউন প্রিন্সকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত এ সময় সৌদি আরবের শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন এবং এর ভাতৃপ্রতিম জনগণের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের সংহতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। ইতোমধ্যে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গঠনের জন্য ডেল্টা প্ল্যান গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে কাজ চলেছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সৌদি আরব ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের নিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) কেক কাটেন।
অনুষ্ঠানে রিয়াদের বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একটি মনোমুগ্ধকর দলীয় নৃত্য এবং বাংলাদেশি কারুপণ্য নিয়ে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।