রিমান্ডে থাকা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা প্রথমে হামলা ও সহিংসতার সাথে বিএনপির সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছেন। কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজ, হামলায় অংশগ্রহণে দলীয় নেতাকর্মীদের ভিডিও ফুটেজ দেখানোর পর তারা দুঃখ প্রকাশ করে ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ।
আজ বুধবার (৮ নভেম্বর) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। এছাড়াও নাশকতায় জড়িত আরও পাঁচজনকে ডিবি গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ হত্যা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, গাড়িতে অগ্নিসংযোগসহ নাশকতার ঘটনায় শুধু রাজধানীতে মামলা হয়েছে শতাধিক।
এসব ঘটনায় যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তাদের মধ্য রয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এসব ঘটনায় রিমান্ডে আছেন অনেকেই।
গ্রেফতার কেন্দ্রীয় নেতারা প্রথমে হামলা ও সহিংসতার সাথে বিএনপির সম্পৃক্ততা কথা অস্বীকার করলেও সিসিটিভি ফুটেজ, বিভিন্ন এলাকায় হামলার ভিডিও ফুটেজ দেখালে তারা নিজেরাই জড়িতদের চিহ্নিত করে দুঃখ প্রকাশ করেন বলে দাবি গোয়েন্দা পুলিশের।
‘প্রেস’ লেখা ভেস্ট পরে ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের দিন কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেয় যুবদল নেতা রবিউল ইসলাম নয়ন ও তার সহযোগীরা।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, রিমান্ডে নেয়ার পর বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা প্রথমে ২৮ অক্টোবরের হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় নিজেদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন। কিন্তু পরে যখন তাদের ঘটনার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ, হামলায় অংশগ্রহণে দলীয় নেতাকর্মীদের ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয় তখন তারা জড়িত থাকা এবং পরিকল্পনা করার কথা স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এদিকে, ২৮ অক্টোবরের সংঘর্ষের সময় পুলিশ সদস্য আমিরুল হত্যা, বিচারপতির বাসভবনে হামলা, কাকরাইল, রমনা, মৌচাকে বাসে আগুন দেয়ার ঘটনায় আরো পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, ২৮ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত যারা সহিংসতায় জড়াচ্ছে তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। সূত্র সময় টিভি।
ডিবি প্রধান হারুন জানিয়েছেন, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে বিএনপির অনেক কেন্দ্রীয় নেতাদের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।