জুন ২৯, ২০২৪

পরিবেশ সংরক্ষণে বিশেষ অবদান রেখে রিটেইল ফুটওয়্যার ব্যবসা খাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য রিটেইল এশিয়া অ্যাওয়ার্ডস ২০২৪ পেয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড। মঙ্গলবার (১১ জুন) ‘ফুটওয়্যার রিটেইলার অফ দ্য ইয়ার বাংলাদেশ’ এবং ‘সাস্টেইনেবিলিটি ইনিশিয়েটিভ অফ দ্য ইয়ার বাংলাদেশ’ এই দুই ক্যাটেগরিতে পুরস্কার পেয়েছে কোম্পানিটি।

দ্য রিটেইল এশিয়া অ্যাওয়ার্ডস সবসময় রিটেইল সেক্টরে অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করে কাস্টমারদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য বাজারজাত করা এবং সার্বক্ষণিক মান নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করাকে সাধুবাদ জানায়। এ বছরেও তারা রিটেইল শিল্পের স্বনামধন্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে একত্রিত করে রিটেইল শিল্পের নিত্যনতুন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করে এবং তাদের সফলতা উদযাপন করে।

রিটেইল এশিয়া অ্যাওয়ার্ডস এশিয়ার রিটেইল শিল্পে একটি জমকালো আয়োজন যেখানে বিশ্বের সুপরিচিত বিভিন্ন রিটেইল ব্র্যান্ড সেভেন ইলেভেন, বার্কেনষ্টক, সেন্ট্রাল গ্রুপ থাইল্যান্ড, চার্লস এন্ড কীথ, ক্রক্স সিঙ্গাপুর পি টি ই, বেঞ্চ, জিম থমসন, পুমা সাউথ ইস্ট এশিয়া পি টি ই, সাকুর ব্রাদার্স, সিঙ্গটেল, স্কেচার্স হংকং, টয়স’আর’ইয়োর্স সিঙ্গাপুর পি টি ই, ওয়াটসন সিঙ্গাপুর প্রভৃতি অংশগ্রহণ করে।

রিটেইল এশিয়া অ্যাওয়ার্ডস জিততে এপেক্সকে রিটেইল ইন্ডাস্ট্রির অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞদের কঠিন বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। প্রোগ্রামটির বিচারকমণ্ডলীতে ছিলেন ডেভিড ই ইউ (পার্টনার, ফুড এন্ড বেভারেজ, রিটেইল এন্ড কনজিউমার প্রোডাক্ট, আর এস এম সিঙ্গাপুর), আনসন বেইলি (হেড অব কনজিউমার এন্ড রিটেইল, এশিয়া প্যাসিফিক, কে পি এম জি চায়না), মাইকেল চেং (এশিয়া প্যাসিফিক, মেইনল্যান্ড চায়না এবং হংকং কনজিউমার মার্কেট লিডার, পি ডব্লিউ সি) অলিভিয়ার গারগেল (এশিয়া প্যাসিফিক ই ওয়াই- পার্থেনন কনজিউমার লিডার, ই ওয়াই) এবং হিরোমি ইয়ামাগুচি (রিসার্চ ম্যানেজার, ইউরোমনিটর ইন্টারন্যাশনাল)।

১৯৯৭ সালে রিটেইল ফুটওয়্যার ব্র্যান্ড হিসেবে যাত্রা শুরু করে, এপেক্স ২০২৪ সালের মধ্যে দেশব্যাপী প্রায় ৪৮০টিরও বেশি দোকানে সম্প্রসারিত হয়েছে। এপেক্স মনে করে যে পণ্যের ডিজাইন একটি ব্র্যান্ডের সবচেয়ে বড় শক্তি। তাই এ বছর ঈদে তারা আড়াই হাজারের বেশি নতুন ডিজাইন এনেছে, যা তাদের ৯টি নিজস্ব ব্র্যান্ড- এপেক্স, ভেনচুরিনি, নিনো রসি, মুচি, ম্যাভেরিক, স্প্রিন্ট, ডক্টর মক, টুইঙ্কলার এবং স্কুল স্মার্টে রয়েছে। এছাড়াও, নাইকি, এডিডাস, ক্লার্কস, এসিক্সসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের সাথে একত্রিত হয়ে এপেক্স তাদের রিটেইল যাত্রা এগিয়ে নিচ্ছে।

টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে এপেক্সের নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগও পর্যালোচনা করা হয় অনুষ্ঠানটিতে। বিশেষত ‘পি ই টি টু প্রোডাক্ট’ প্রোগ্রামের মধ্যে উল্লেখযোগ্য যা প্লাস্টিক পণ্য পুনর্ব্যবহার করে নতুন জুতা উৎপাদন করে থাকে। কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমিয়ে আনতে এপেক্স তাদের কাঁচামালগুলো সব ট্রেসেবল উৎস থেকেই নিয়ে আসে। এর সাথে তারা নবায়নযোগ্য গ্রীন এনার্জি উৎপাদনেও তৎপর। পরিবেশ ও জাতির প্রতি দায়িত্ববোধ থেকেই এপেক্স পরিবেশবান্ধব প্রক্রিয়ায় জুতা উৎপাদন করে থাকে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *