রিজার্ভ সংকট সমাধানে বেইজিং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঢাকার পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। আজu রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
ইয়াও ওয়েন বলেন, রাখাইনে অস্ত্র বিরতি হলেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় চীন। এই মুহূর্তে সংকট থাকলেও আমাদের আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে যে চীন বাংলাদেশ মিয়ানমারের ত্রিপক্ষিয় সমঝোতার মাধ্যমে প্রত্যাবাসন শুরু হবে। মিয়ানমার এরই মধ্যে চীনের মধস্থতায় দেশটির তিনটি স্থানে অস্ত্র বিরতিতে রাজি হয়েছে। রাখাইনে অস্ত্র বিরতি হলেই প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় চীন।
ইয়াও ওয়েন আরও বলেন, তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে ঢাকার সম্মতি পেলেই কাজ শুরু করবে চীন।
মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সহিংসতায় অস্ত্র বিরতির জন্য বেইজিং কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি জটিল। কিন্তু বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের উদ্যোগে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হবে দ্রুতই।
দিনের কার্যসূচি অনুসারে ড. হাছান মাহমুদ বৈঠক করছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের আবাসিক প্রতিনিধি গুয়েন লুইসের সঙ্গে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভাণ্ডারীরও। দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ব্রিফ করার কথা হাছান মাহমুদের।