সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল শোধের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে এসেছে। বুধবার (১০ জুলাই) নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে এই দায় সমন্বয় করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ৪ জুলাই আইএমএফ স্বীকৃত বিপিএম-৬ পদ্ধতি অনুযায়ী রিজার্ভের স্থিতি ছিল ২ হাজার ১৭৮ কোটি ডলার। আকুর দায় শোধের পর তা ২ হাজার ৪৬ কোটি ডলারে নেমে এসেছে।

তথ্য অনুযায়ী, গত ৪ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসাবে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৬৮১ কোটি ডলার। এখান থেকে আকু দায় বাদ দিলে গ্রস রিজার্ভের স্থিতি দাঁড়ায় ২ হাজার ৬১৭ কোটি ডলার।

জাতিসংঘের এশিয়া অঞ্চলের অর্থনীতি ও সামাজিক কমিশনের উদ্যোগে ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় আকু। জাতিসংঘের এশিয়া অঞ্চলের অর্থনীতি ও সামাজিক কমিশনের ভৌগোলিক সীমারেখায় অবস্থিত সকল দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য আকুর সদস্যপদ উন্মুক্ত। এর সদর দপ্তর ইরানের রাজধানী তেহরানে।

বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ-এই নয়টি দেশ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) সদস্য ছিল। তবে রিজার্ভ সঙ্কটে পড়ে ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে আকু থেকে বেরিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। আকুর সদস্য দেশগুলো নিজেদের মধ্যে যে আমদানি-রপ্তানি করে, তার দায় ২ মাস পর পর সমন্বয় করে।

এর আগে গত জুনের শেষের দিকে ধার দেনা করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়িয়েছিলো বাংলাদেশ ব্যাংক। জুনের শেষের দিকে আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ যেমন এসেছে, তেমনই আরও কয়েকটি উৎস থেকে ডলার যোগ হয়েছে। তাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছিলো ২ হাজার ৬৫০ কোটি ডলার। আর আইএমএফ স্বীকৃত বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে রিজার্ভের পরিমাণ এখন ২২ বিলিয়ন ডলারে উঠেছিলো।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *