নভেম্বর ২৫, ২০২৪

বাংলাদেশকে নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়া কোনো প্রতিযোগিতা করছে না বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ ইস্যুতে তারা (পশ্চিমা দেশগুলো) কী করছে, আর কী করতে পারে, আমরা শুধু তা তুলে ধরেছি।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ঢাকায় রুশ দূতাবাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে মাইন অপারেশনে সহায়তা করেছিল তৎকালীন সোভিয়েত নৌবাহিনী। তখন মাইন অপসারণে সহায়তাকারী সেই নৌবাহিনীর সাবেক দুই সদস্য বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশে এসেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তারা সেই সময়ের স্মৃতিচারণ করেন।

গত ১৫ ডিসেম্বর রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাকারোভা অভিযোগ করেছিলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের পর বাংলাদেশে ‘আরব বসন্ত’ ঘটাতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

তার এ বক্তব্য বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ সালে তৎকালীন সোভিয়েত নৌবাহিনীর সদস্যরা চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে মাইন অপসারণে সহায়তা করেছিলেন, তা তুলে ধরতেই আমরা এখানে সংবাদ সম্মেলন করছি। তবুও বলতে চাই, বাংলাদেশকে নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে নামেনি রাশিয়া। তবে তারা (পশ্চিমা দেশগুলো) কী করছে, আর কী করতে পারে, আমরা শুধু তা তুলে ধরেছি। এ বিষয়ে আমি আগেও কথা বলেছি।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে এবং যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে রাশিয়া সহযোগিতা করতে পেরেছে বলে আমরা খুশি। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় আমরা অংশীদার হতে পেরে আনন্দিত।

সংবাদ সম্মেলনে তৎকালীন সোভিয়েত নৌবাহিনীর সাবেক দুই সদস্য ভিটালি গুবেনকো ও আলেক্সান্ডার জালটস্কি উপস্থিত ছিলেন।

এসময় ভিটালি গুবেনকো চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে মাইন অপসারণের স্মৃতিচারণ করে বলেন, মাইন অপসারণের জন্য ১৯৭২ সালে আমি চট্টগ্রামে আসি। তখন কাজটি খুব কঠিন ছিল। দুই বছর অক্লান্ত চেষ্টায় মাইন অপসারণ করা হয়। পরে বন্দর দিয়ে জাহাজ চলাচলও শুরু হয়। তখন স্থানীয় জনগণ খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ ছিলেন। তাদের কথা আমার স্মরণে আছে।

তিনি বলেন, ৫০ বছর আগে এদেশের অবকাঠামোগত তেমন কোনো উন্নতি ছিল না। এখন বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে খুব ভালো লাগছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...