কিয়েভে ভয়াবহ ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। শহরটির মেয়র জানিয়েছেন, গত বছর পূর্ণমাত্রায় আক্রমণ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনের রাজধানীতে এটিই রাশিয়ার বৃহত্তম ড্রোন হামলা।
বিবিসি জানিয়েছে, শনিবার ভোরের আলো ফোটার আগেই বিস্ফোরণের শব্দে ঘুম ভাঙে কিয়েভের বাসিন্দাদের। এরপর অন্তত ছয় ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালায় রুশ ড্রোন। শহরের উত্তর ও পূর্ব দিক থেকে ধেঁয়ে আসে একের পর এক হামলা।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের দাবি, হামলায় ইরানের তৈরি অন্তত ৭৫টি শাহেদ ড্রোন ব্যবহার করেছে মস্কো। এর মধ্যে ৭৪টি ড্রোনই ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইউক্রেন।
সম্প্রতি ইউক্রেনে হামলা চালাতে ক্ষেপণাস্ত্রের সস্তা বিকল্প হিসেবে ইরানি ড্রোন ব্যবহার করছে রাশিয়া। এগুলো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে ধীর গতির এবং একটি স্বতন্ত্র ডানা বিশিষ্ট।
ড্রোনগুলো যদি আকাশেও ধ্বংস করা হয়, তবু এর ধ্বংসাবশেষগুলোও প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেছেন, শনিবারের এই হামলায় কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তবে পাঁচজন আহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর মধ্যে একটি কিন্ডারগার্টেন রয়েছে।
ইউক্রেনীয় প্রেসেডন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই হামলাকে ‘ইচ্ছাকৃত সন্ত্রাস’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, তার দেশ ‘রুশ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষায় বিশ্বকে একত্রিত করতে কাজ চালিয়ে যাবে’।
তীব্র শীতের মধ্যে রাশিয়া ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোগুলোকে ফের লক্ষ্যবস্তু করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রুশ হামলার জেরে বর্তমানে মধ্য কিয়েভের প্রায় ১৬ হাজার বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে।