রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। তিন দিন ধরে চলবে এই ভোটগ্রহণ। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবারের নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছেন এবং নির্বাচনে সব ভোটারকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এদিকে ইউক্রেন এই নির্বাচনকে ‘প্রহসন’ হিসাবে আখ্যায়িত করেছে এবং সীমান্ত অঞ্চলে মারাত্মক আক্রমণ চালিয়েছে।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) পৃথক প্রতিবেদনেএই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি এবং রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি।
আরটি তার প্রতিবেদনে বলেছে, রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যের ভোট কেন্দ্রগুলোতে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এই নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখি হয়েছেন। স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় পর্যায়ক্রমে সারাদেশে ভোট কেন্দ্র খোলা হবে। আগামী রোববার পর্যন্ত তিন দিন ধরে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে জয়ী হলে পঞ্চমবারের মতো প্রেসিডেন্ট হবেন তিনি এবং সেক্ষেত্রে তার ক্ষমতার মেয়াদ ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাড়বে। সেই সঙ্গে রাশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে প্রেসিডেন্ট পদে থাকার রেকর্ডটিও তার হয়ে যাবে।
বর্তমানে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে থাকার রেকর্ডের মালিক জোসেফ স্তালিন এবং লিওনিদ ব্রেজনেভ। সাবেক সোভিয়েত আমলে দু’জনেই ২৪ বছর করে ক্ষমতায় ছিলেন। ৭১ বছর বয়সী পুতিন যদি ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট থাকতে পারেন, তাহলে তার ক্ষমতার মোট মেয়াদকাল পৌঁছাবে ৩০ বছরে।
এবারের নির্বাচনে পুতিনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বেশ কয়েজন প্রার্থী। তারা হচ্ছেন- ডানপন্থি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপিআর) প্রধান লিওনিড স্লুটস্কি, কমিউনিস্ট প্রার্থী নিকোলে খারিতোনভ এবং উদার মধ্যপন্থি নিউ পিপলের প্রতিনিধিত্বকারী ভ্লাদিস্লাভ দাভানকভ।
তবে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অভিযানের বিরোধিতা করার কারণে জনপ্রিয় দুই রুশ প্রার্থীকে এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তারা হলেন- বরিস নাদেজদিন এবং ইয়েকাতেরিনা দান্তসোভা।
এদিকে নির্বাচনে সব ভোটারকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল ‘আগামী বছরগুলোতে দেশের উন্নয়নকে বাস্তবে রূপ দেবে।
পুতিন বলেছেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করা প্রয়োজন। প্রতিটি ভোট মূল্যবান এবং তাৎপর্যপূর্ণ। দেশের ক্ষমতার একমাত্র উৎস হলো জনগণ, যেমনটি রাশিয়ান সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।