দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যানবাহন চলাচলে বেশ কিছু বিধিনিষেধ দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এই বিধিনিষেধ শুরু হচ্ছে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) মধ্যরাত ১২টা থেকে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই বিধিনিষেধের কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় এলাকায় শনিবার (৬ জানুয়ারি) মধ্যরাত ১২টা থেকে ৭ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত ট্যাক্সি ক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস, ট্রাক ইত্যাদি চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা থেকে সোমবার (৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। অর্থাৎ ভোটের দিন ট্যাক্সি ক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে। আর তিন দিন বন্ধ থাকবে মোটরসাইকেল চলাচল।
এর আগে রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে কোন কোন যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে, তা-ও জানানো হয়েছিল।
যেসব যানবাহনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে
১. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, প্রশাসন ও অনুমতিপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক;
২. জরুরি সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন এবং ওষুধ, স্বাস্থ্য-চিকিৎসা ও অনুরূপ কাজে ব্যবহৃত দ্রব্য ও সংবাদপত্র বহনকারী সব ধরনের যানবাহন;
৩. আত্মীয়স্বজনের জন্য বিমানবন্দরে যাওয়া, বিমানবন্দর হতে যাত্রী বা আত্মীয়স্বজনসহ নিজ বাসস্থানে অথবা আত্মীয়স্বজনের বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত যানবাহন (টিকিট বা অনুরূপ প্রমাণ প্রদর্শন) এবং দূরপাল্লার যাত্রী বহনকারী অথবা দূরপাল্লার যাত্রী হিসেবে স্থানীয় পর্যায়ে যাতায়াতের জন্য যেকোনো যানবাহন;
৪. প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর জন্য ১টি, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টের (যথাযথ নিয়োগপত্র/পরিচয়পত্র থাকা সাপেক্ষে) জন্য ১টি গাড়ি (জিপ, কার, মাইক্রোবাস ইত্যাদি ছোট আকৃতির যানবাহন) রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমোদন ও গাড়িতে স্টিকার প্রদর্শন সাপেক্ষে চলাচলের অনুমতি প্রদান;
৫. সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক অথবা জরুরি কোনো কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমোদন সাপেক্ষে চলাচলের অনুমতি প্রদান;
৬. নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা বা কর্মচারী অথবা অন্য কোনো ব্যক্তির জন্য মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি প্রদান;
৭. জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর ছাড়াও আন্তজেলা বা মহানগর থেকে বের হওয়া বা প্রবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, মহাসড়ক ও প্রধান প্রধান রাস্তার সংযোগ সড়ক বা এ রকম সব রাস্তায় নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন; এবং স্থানীয় প্রয়োজনীয়তা ও বাস্তবতার নিরিখে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটরা কিছু যানবাহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ অথবা শিথিল করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
সড়ক বিভাগের প্রজ্ঞাপনে নিষেধাজ্ঞাভুক্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ অথবা শিথিলের বিষয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অথবা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।