নভেম্বর ১৪, ২০২৪

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ওপারে মায়ানমারে সরকারি বাহিনী ও আরকান আর্মিরমদ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিনের বেলা ওপারের সীমন্ত শান্ত থাকলেও রাত থেকে গুলি, মর্টার শেলের শব্দ শোনা গেছে। শুক্রবার সকালে সরেজমিন ঘুমধুম সীমান্তে গোলাগুলি ও মর্টার শেলের শব্দ শোনা গেছে। এমন অবস্থায় আতঙ্কে আছেন সীমান্তবাসীরা। একই সঙ্গে ঘর ছড়ে পালিয়েছেন অনেকেই।

স্থানীয়রা জানান, টেকনাফের উনথ্রিপ্রাং এলাকায় গত রাতে প্রচণ্ড গোলাগুলি হয়েছে। মিয়ানমারের আর্মির সঙ্গে বিদ্রোহীদের ব্যাপক সংঘর্ষ চলেছে। বিদ্রোহীরা কয়েকটি ক্যাম্প দখল নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। সরকারি সামরিক বাহিনী তা প্রতিরোধের চেষ্টা চালাচ্ছে। যার ফলে ব্যাপক গোলাগুলি ,মর্টার শেল, রকেটের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।

তারা জাননা, উনথ্রিপ্রাং এলাকায় বেশ কিছু বিজিপির পোশাকধারীদের অস্ত্রসহ ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে। তারা আতঙ্কে ও আত্মরক্ষায় এপারে আসর চেষ্টা করছে। তবে এখন পর্যন্ত সে ধরনের ঘটনা ঘটেনি।

শুধু উনথ্রিপ্রাং নয়, টেকনাফ সীমান্তের খারাংখালী এলাকাও জড়ো হয়েছে অনেক বিজিপি সদস্য।

এদিকে বাংলাদেশিদের জন্য আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে মিয়ানমারের ছোড়া কিছু বিস্ফোরক অবিস্ফোরিত অবস্থায় বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের ভেতর পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব এলাকায় বাংলাদেশের মধ্য আর অনেক অবিস্ফোরিত সামরিক গোলা আছে। যদি কোনো কৃষক কিংবা সীমান্ত এলাকার জেলে মাছ ধরতে গিয়ে এই গোলায় পা দেয় তাহলে তাদের জীবন সংশয় আছে।

মায়নমার সীমান্ত পেরিয়ে আসা কয়েকজন বিজিপি সদস্য জানান, ঘুমধুম, বুচিদং হারিবিল বিদ্রোহীদের দখলে। তাদের চৌকি আক্রমণের শিকার হয়েছে ৩-৪টি ক্যাম্প বেদখল হয়েছে। প্রতি ক্যাম্পে ২৬ জন ছিলেন। ৩৩০ জন এ পর্যন্ত চলে এসেছে। নৌ পথে তাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

এদিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিজিপি সদস্যদের সঙ্গে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য আসতে পারে, এটা যাচাই বাছাইয়ের চলছে। বৃহস্পতিবার ধুমঘুম- তুমমব্রুতে যে ১০০ জনের মতো আশ্রিত ছিলো তাদের টেকনাফে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। টেকনাফের নৌ পথটি ব্যবহার করে তাদের পুশ ব্যাক করা হতে পারে এবং সেভাবেই কথা হচ্ছে। আমাদের ধারণা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...