গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীতে তাপমাত্রা কম থাকলেও আদ্রতা বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি ছিল জনজীবনে। এ অবস্থায় তিনদিন পর আবারও স্বস্তির বৃষ্টির দেখা মিললো। এর আগে সবশেষ গত শুক্রবার হালকা বৃষ্টি হয়েছিল।
এদিকে কাগজ-কলমে বর্ষাকাল আসতে আরও পাঁচ দিন বাকি। আগামী ১৫ জুন শুরু হবে বর্ষার প্রথম মাস আষাঢ়। কিন্তু এর আগেই দেখা মিললো বৃষ্টির। এরই মধ্যে বৃষ্টি নামানো দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু সারাদেশে বিস্তার লাভ করেছে। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিও হচ্ছে।
সোমবার সকাল ৭টার কিছু আগে মেঘে মেঘে অন্ধকার নামে এ নগরে। এরপর বজ্রপাত। শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টি অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গরম কমলেও বৃষ্টির কারণে সকালে অফিসসহ অন্যান্য গন্তব্যে যাওয়া যাত্রীদের কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। কেউবা ছাতা আবার রেনকোট পরে বের হয়েছেন।
রাজধানীর মৌচাক মোড়ে কথা হয় আবুল খায়েরের সঙ্গে। তিনি বলেন, ইবনে সিনাতে ডাক্তার দেখাতে যাবো। আগে থেকে মেঘ দেখলেও বুঝিনি বৃষ্টি হবে। ভিজে হাসপাতালে যাচ্ছি।
রোববার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল চুয়াডাঙ্গায়। তবে বাতাসে অতিরিক্ত জলীয় বাষ্প থাকায় গরমে অস্বস্তিকর অবস্থা তৈরি হয়েছে।
এখন সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে বৃষ্টির প্রবণতা বেশি। অন্যান্য অঞ্চলেও হালকা বৃষ্টি হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
অন্যদিকে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।
খুলনা বিভাগসহ ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী ও পাবনা জেলাসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।