শুষ্ক মৌসুম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাজধানীতে দেখা দিয়েছে পানি সংকট। রমজান শুরুর পর এ সংকট আরও তীব্র হয়েছে। রাজধানীর কিছু এলাকায় পানি পাওয়া গেলেও তা দুর্গন্ধযুক্ত বলে অভিযোগ করছেন নগরবাসী। অবশ্য ঢাকা ওয়াসার তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, রাজধানীতে পানির সংকট নেই। সঞ্চালন লাইনে কাজ করার কারণে কিছু কিছু এলাকায় পকেট সমস্যা হচ্ছে।
২১০ কাঁঠালবাগানের বাসিন্দা মনির হোসেন জানান, বেশ কিছু দিন হলো লাইনে পানি আসছে না। গভীর রাতে অল্পস্বল্প যে পানি আসে তা দিয়ে হয় না। অনেক তদবির করে ওয়াসা থেকে গাড়ির পানি এনে কোনো রকম কাজ চলছে। তবে বড় গাড়ি চাইলে দেয় ছোট গাড়ি।
মিরপুরের ৫৩১/বি/১ পশ্চিম শেওড়াপাড়ার বাসিন্দা কাজী সোহাগ বলেন, কিছু দিন ধরেই পানি পাচ্ছি না। অনেক কষ্টে আছে ভবনের বাসিন্দারা। ওয়াসাকে বললে দু-একদিন পর ছোট এক গাড়ি পানি দেয়। সেই পানি ট্যাঙ্কির নিচে পড়ে থাকে।
এ ছাড়া রাজধানীর মালিবাগ, গুলবাগ, লালবাগ, রায়েরবাগ ও দক্ষিণখান এলাকায় পানির সমস্যা বেশি। ওয়াসার একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রমজানে পানির চাহিদা বেড়ে যাওয়া এবং কয়েকটি এলাকায় চাহিদার তুলনায় গভীর নলকূপ কম থাকায় সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া শুষ্ক মৌসুমে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় গভীর নলকূপগুলোতেও পানি কম উঠছে। এ কারণে সংকট তৈরি হয়েছে।
ঢাকা ওয়াসা বলছে, রাজধানীতে পানির চাহিদার চেয়ে উৎপাদন বেশি। বর্তমানে পানির চাহিদা দৈনিক গড়ে ২৬০ কোটি লিটার। ওয়াসার উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে ২৭০ কোটি লিটার। ওয়াসা জানিয়েছে, কোনো এলাকায় পানির সমস্যা হলে ঢাকা ওয়াসার হটলাইন ১৬১৬২ নম্বরে যোগাযোগ করতে হবে। ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পানির সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করবে ওয়াসা।
পানি সংকটের বিষয়ে ঢাকা ওয়াসার মুখপাত্র মোস্তফা তারেক বলেন, সার্বিকভাবে ঢাকায় পানির সংকট
নেই। কিছু জায়গায় সাময়িক সমস্যা হচ্ছে। মালিবাগ ও শেওড়াপাড়া গভীর নলকূপ মেরামতের কাজ চলছে। রোজার সময় পানি সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে সায়েদাবাদ পানি শোধনাগারের উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে। দু-এক স্থান থেকে যে অভিযোগ আসছে তা পকেট সমস্যা। সেখানে গাড়িতে করে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে
।