জুলাই ৬, ২০২৪

প্রায় দুই কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পরিচালক (উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ-২) মোবারক হোসেন ও তার স্ত্রী সাহানা পারভীনের নামে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ বুধবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ কমিশনের সহকারি পরিচালক আসিফ আল মাহমুদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা মামলা দায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এজাহারে বলা হয়, রাজউকের পরিচালক মোবারক হোসেন দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে নিজের নামে স্থাবর ও অস্থাবরসহ মোট এক কোটি ১০ লাখ ৮৬ হাজার ৫৩ টাকা মুল্যের সম্পদের তথ্য থাকার ঘোষণা করেন। যাচাইকালে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় করে দাখিল করা সম্পদের সত্যতা পাওয়া যায়। এই সম্পদের বিপরীতে চাকরিকালীন বিভিন্ন খাত হতে আয় থেকে পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় ব্যতিরেকে সঞ্চয় ও ঋণগ্রহণসহ মোট বৈধ উৎসের পরিমাণ পরিমাণ পাওয়া যায় ৬৯ লাখ ৩৯ হাজার ২০৮ টাকা। এক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য বৈধ উৎসের চেয়ে অতিরিক্ত ৪১ লাখ ৪৬ হাজার ৮৪৫ টাকা আয়ের কোন বৈধ ও গ্রহণযোগ্য উৎস তিনি প্রদর্শন করতে পারেননি।

অর্থাৎ আসামি মো. মোবারক হোসেন এর নামে অসাধু উপায়ে অর্জিত ও তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ ৪১ লাখ ৪৬ হাজার ৮৪৫ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে তা ভোগ দখলে রাখায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়।
.
অপর দিকে মো. মোবারক হোসেনের স্ত্রী সাহানা পারভীন নামে দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, দাখিলকৃত সম্পদ বিরবণীতে তিনি নিজ নামে ৬০ লাখ ৯০ হাজার ৫৬০ টাকা মূল্যের স্থাবর ১ কোটি ৩৮ লাখ ৮৪ হাজার ৭০১ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্যসহ সর্বমোট ১ কোটি ৯৯ লাখ ৭৫ হাজার ২৬১ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য দাখিল করেছেন। তবে সাহানা পারভীনের নামে বর্ণিত সময়ে আয় থেকে পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় বাদ দিয়ে নীট সঞ্চয়সহ অন্যান্য বৈধ প্রাপ্তিসহ মোট বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ৪১ লাখ ২ হাজার ১০৯ টাকা। এক্ষেত্রে, আসামী সাহানা পারভীনের নামে তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ৫৮ লাখ ৭৩ হাজার ১৫২ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ ভোগ দখলে রাখার সত্যতা পাওয়া যায়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, প্রকৃতপক্ষে সাহানা পারভীন স্বামী মো. মোবারক হোসেন, পরিচালক (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ-২), রাজউক এর অসাধু উপায়ে অর্জিত অর্থের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত এই সম্পদ অর্জন করেছেন। সুতরাং আসামি সাহানা পারভীন ও তার স্বামী মো. মোবারক হোসেন পরস্পর যোগসাজশে একে অপরকে সহযোগিতার মাধ্যমে দেড় কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ ভোগ দখলে রাখেন। অপরাধলদ্ধ অর্থ দ্বারা উভয়ে একে অন্যের সহায়তায় মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *