সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধির ফলে ডুবে গেছে রাঙামাটির পর্যটন শিল্পের আইকন ঝুলন্ত সেতু। ফলে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন পর্যটকরা। আর নিরাপত্তা বিবেচনায় সেতুতে পর্যটক চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন কর্তৃপক্ষ।

রোববার (আগস্ট) সকালের দিকে সেতুর পাটাতনে পানি ওঠায় পর্যটন কর্তৃপক্ষ সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়।

পর্যটন কর্তৃপক্ষ জানায়, কাপ্তাই হ্রদে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় রোববার সকালের দিকে ঝুলন্ত সেতুতে প্রায় ছয় ইঞ্চি পানি উঠে। এতে সেতুর ঝুঁকি এড়াতে নোটিশ টাঙিয়ে দিয়ে সাময়িকভাবে চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে রাঙামাটিতে বেড়াতে আসা পর্যটকরা আকর্ষণীয় ঝুলন্ত সেতুর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারছেন না।

ভারী বৃষ্টিপাত ও সীমান্তের ওপাড় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ প্রকল্পের তথ্য মতে, হ্রদের পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। তবে ১০৫ এমএসএল পানি হলেই ডুবে যায় ঝুলন্ত সেতু।

রাঙামাটি সরকারি পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জানান, হ্রদে পানির উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে পর্যটনের ঝুলন্ত সেতুর পাটাতন প্রায় ৬ ইঞ্চি পানিতে ডুবে গেছে। তাই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে পানি কমে গেলে পর্যটকদের চলাচলের জন্য সেতুটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

তিনি আরও জানান, এই ঝুলন্ত সেতু বন্ধ থাকায় প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা লোকসান হবে।

উল্লেখ্য, ৭০ দশকের শেষের দিকে সরকার রাঙামাটি জেলাকে পর্যটন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৮৪ সালের দিকে পর্যটন কর্পোরেশন পর্যটকদের সুবিধার্থে ও মনোরঞ্জনের জন্য দুই পাহাড়ের মাঝখানে তৈরি করে আকর্ষণীয় এই ঝুলন্ত সেতু। এ ঝুলন্ত সেতুর পূর্ব দিকে তাকালে দেখা মিলে অপূর্ব স্বচ্ছ জলরাশিসহ ছোটবড় নৈসর্গিক সবুজ পাহাড়।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *