বাঙালি জাতির চিন্তা-চেতনার প্রতীক রবীন্দ্র-নজরুল। বাঙালি সংস্কৃতিক প্রাণজুড়ে রয়েছে রবীন্দ্র-নজরুল। আদর্শ জাতি হিসেবে বিশ্ব সংস্কৃতির ভুবনে অনবদ্য ও অনস্বীকার্য প্রেরণার আধার রবীন্দ্র-নজরুল। রবীন্দ্র-নজরুল বাঙালির চেতনার প্রতীক তাই রবীন্দ্র-নজরুল চর্চার মাধ্যমে আগামী প্রজন্মের শিশুদের মেধা বিকাশ ঘটাতে হবে। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক চর্চা শিশু-কিশোর প্রশিক্ষণ একাডেমির পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তারা উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক চর্চা শিশু-কিশোর প্রশিক্ষণ একাডেমির উদ্যোগে আজ সোমবার (২৬ জুন) বিকাল ৪টায় নগরীর মোমিন রোডস্থ চট্টগ্রাম একাডেমির ফয়েজ নুর নাহার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক চর্চা শিশু-কিশোর প্রশিক্ষণ একাডেমির পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর যুব মহিলালীগের যুগ্মআহ্বায়ক, বিশিষ্ট নারী নেত্রী ও রাজনীতিবিদ জাহানারা ছাবের। এ্যাডভিশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও শিল্পী মাসুদ রানা সভাপতিত্ব করেন। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট সংগঠক ও সমাজসেবী জেবিএস আনন্দব্যোধি ভিক্ষু।
প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও বিশিষ্ট আবৃত্তি শিল্পী সাবরিনা আফরোজা। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য স.ম জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট আর্ট প্রশিক্ষক নিপা দেবী, চট্টগ্রাম মহানগর যুব মহিলালীগের সদস্য বেবি আক্তার।
শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক চর্চা শিশু-কিশোরের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মোহাম্মদ হোসেন মধু। সভায় বক্তারা আরো বলেন, সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে আগামী প্রজন্মকে স্মার্ট নাগরিক ও মেধাবী প্রজন্ম হিসেবে গড়ে তুলতে রবীন্দ্র-নজরুল চর্চা করতে হবে। যতবেশি রবীন্দ্র-নজরুল চর্চায় শিশুদের এবং আগামী প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করা যাবে ততবেশি জাতি সমৃদ্ধ হবে। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন সংগীত শিল্পী অন্যন্যা বিশ্বাস, অর্পিতা ভট্টাচার্য্য, স্বস্তিকা বড়ুয়া, চম্পা দাশ, অদ্রিরায় চৌধুরী, চৈতী দাশ প্রমূখ।অনুষ্ঠানের শেষে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শতাধিক কৃতি শিল্পীদের মাঝে অতিথিবৃন্দ পুরস্কার তুলে দেন।