সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪

আমাদের শরীরের নানা কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত করতে সাহায্য করে হরমোন। তবে যদি কোনো কারণে হরমোনের মাত্রায় ভারসাম্যহীনতা দেখা যায়, তার সরাসরি প্রভাব পড়ে আমাদের শরীরে। ধীরে ধীরে তৈরি হয় নানান জটিলতা। প্রত্যেকের মধ্যেই হরমোনের ভারসাম্যহীনতার মধ্য দিয়ে যায়। এর অনেক কারণ ও উপসর্গ থাকতে পারে। হরমোনের ভারসাম্যহীনতার অন্যতম বড় কারণ হল— পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব।

আমাদের সুস্থ জীবনের জন্য হরমোন স্বাস্থ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা অনেকাংশে নির্ভর করে আমাদের লাইফস্টাইলের ওপর, যেমন কিছু মানুষ দুপুরের খাবার এড়িয়ে যায়, কেউ অতিরিক্ত কাজ করে, কারও গভীর রাতে স্ক্রিন দেখার অভ্যাস আছে, কেউ অতিরিক্ত চিন্তা করে। প্রায় সকলেরই দৈনন্দিন জীবনে এমন অনেক অভ্যাস থাকে, যা আমাদের শরীরের হরমোনকে ভারসাম্যহীন করে।

হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দিলে শরীরে কিছু উপসর্গ স্পষ্ট দেখা যায়। যেমন- ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাস হওয়া, ঘুমের সমস্যা, রক্তচাপ এবং হার্ট রেট পরিবর্তন, বিরক্তি, বিষণ্নতা, উদ্বেগ, মুড পরিবর্তন, ক্লান্তি, ক্ষুধা পরিবর্তন, পেশি দুর্বলতা, জয়েন্টে ব্যথা, অতিরিক্ত ঘাম, চুল ঝরেপড়া বৃদ্ধি, মুখে বা শরীরে লোমের পরিমাণ বৃদ্ধি ইত্যাদি।

এই অবস্থায় ভারসাম্য বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার পুষ্টিকর খাদ্য এবং কিছু বিশেষ খাবার এই সমস্যা সমাধান করতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক, কী ধরনের খাবার হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে-

স্বাস্থ্যকর ফ্যাট

আপনার ডায়েটে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত স্বাস্থ্যকর চর্বি অন্তর্ভুক্ত করুন। যেমন চিয়া সিড, আখরোট, চর্বিযুক্ত মাছ ইত্যাদি। যা হরমোন উৎপাদন প্রক্রিয়াকে বাড়িয়ে তোলে।

উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার

ফ্লেক্স সিড, ব্রোকলি, স্প্রাউট, বাঁধাকপি, শস্য, ফল-মূলের মতো উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার খেলে ইস্ট্রোজেন সহজেই বর্জ্য আকারে শরীর থেকে বের হয়ে যায়। যার ফলে এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার

চর্বিহীন মাংস, ডাল, ডিমের মতো প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা ভারসাম্য বজায় থাকে, যা টেস্টোস্টেরনের মতো হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে।

এছাড়াও এই বিশেষ খাবার দিয়ে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব, যা হল-

১. শণের বীজ- পুষ্টিতে ভরপুর শণের বীজ ইস্ট্রোজেনের মাত্রা ভারসাম্য রাখে। ২. বাদাম- এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে।

৩. তিল- এতে ফাইটোয়েস্ট্রোজেন পাওয়া যায়, যা ইস্ট্রোজেনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

৪. কুমড়ার বীজ- এগুলি জিঙ্ক সমৃদ্ধ, যা প্রোজেস্টেরন হরমোন উৎপাদনে সহায়তা করে।

৫. সূর্যমুখী বীজ- এতে ভিটামিন এবং সেলেনিয়াম রয়েছে, যা প্রোজেস্টেরন এবং থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *