ওজন কমানোর জন্য হোক বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা, আজকাল অনেকেই চিয়া সিডকে বেছে নিচ্ছেন। এই কালো-সাদা বীজ পুষ্টিতে ভরপুর। ফাইবার, প্রোটিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো উপাদান রয়েছে, যে কারণে চিয়া সিডকে সুপারফুডও বলা হয়।
চিয়া সিড খেলে ওবেসিটি, ডায়াবেটিস, ক্যান্সারের মতো রোগের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকা যায়। এমনকি হার্ট, হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতেও এই বীজের জুড়ি মেলা ভার। হজম স্বাস্থ্য উন্নত করে চিয়া সিড। কেউ চিয়া সিড শুধু পানি ভিজিয়ে খায়। আবার কেউ কেউ দুধ-দই দিয়ে স্মুদি, ওটমিল বানিয়েও খান। সেই স্মুদি বা ওটমিলের মধ্যে আরও নানা উপাদান থাকে। কিন্তু সব ধরনের খাবারের সঙ্গে চিয়া সিড খাওয়া যায় না। এমন বেশ কিছু খাবার রয়েছে, যার সঙ্গে চিয়া সিড না খাওয়াই ভালো।
ফাইটিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার
বিনস, ডাল, বাদাম ও বেশ কিছু দানাশস্য রয়েছে, যার মধ্যে ফাইটিক অ্যাসিড পাওয়া যায়। এই ধরনের খাবারের সঙ্গে চিয়া সিড খেলে দেহে ক্যালশিয়াম, আয়রন, জিঙ্কের মতো পুষ্টি শোষণে বাধা তৈরি হতে পারে। চিয়া সিডের মধ্যে ভরপুর পরিমাণে ফাইটিক অ্যাসিড রয়েছে, তাই এমন কোনো খাবারের সঙ্গে চিয়া সিড মেশাবেন না, যার মধ্যে এই উপাদান পাওয়া যায়।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার
চিয়া সিডের মধ্যে উচ্চ মাত্রা ফাইবার পাওয়া যায়। ২৮ গ্রাম চিয়া সিডে ১০ গ্রাম ফাইবার পাবেন। সুতরাং, আপনি যদি চিয়া সিড এমন কোনো খাবারে মিশিয়ে খান যার মধ্যেও ফাইবার রয়েছে, তা হলে বিপদ। অত্যধিক মাত্রায় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে হজম স্বাস্থ্যে গোলমাল দেখা দিতে পারে। ওটস, ডালিয়ার মতো খাবারের সঙ্গে চিয়া সিড এড়িয়ে চলুন।
মিষ্টিজাতীয় খাবার
চিনি স্বাস্থ্যের জন্য বিষ। সুতরাং, যে ধরনের খাবার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে তার সঙ্গে চিয়া সিড মিশিয়ে খাওয়ার ভুল একেবারেই করবেন না। ডেজার্টের উপর চিয়া সিড ছড়ানোর আগে সাবধান।
চিয়া খাওয়ার সঠিক উপায়
১) জলে চিয়া সিড ভিজিয়ে খান। এটাই চিয়া সিড খাওয়া সবচেয়ে ভালো উপায়। এক গ্লাস পানি ১-২ চামচ চিয়া সিড ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেটা পান করুন।
২) স্মুদিতেও চিয়া সিড মেশানো যায়। সেই স্মুদিতে ফল, সবজি কিংবা প্রোটিন পাউডার মেশাতে পারেন। দুধের বদলে স্মুদি পানি বা ফলের রস দিয়ে বানিয়ে নিন।
৩) পাউরুটি, মাফিন, প্যানকেকের মতো বেক করা খাবারের উপর চিয়া সিড ছড়িয়ে দিন।