যুক্তরাষ্ট্রে একটি প্রাইভেট বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে বিমানটিতে থাকা ছয় আরোহীর সবাই প্রাণ হারিয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (৮ জুলাই) লস অ্যাঞ্জেলেসের কাছে একটি বিমানবন্দরের কাছে মাঠে বিমানটি বিধ্বস্ত হলে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।
রোববার (৯ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার লস অ্যাঞ্জেলেসের কাছে একটি বিমানবন্দরের কাছে মাঠে প্রাইভেট বিমানটি বিধ্বস্ত ও আগুনে পুড়ে গেলে আরোহী ছয়জনই নিহত হন বলে স্থানীয় ও ফেডারেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
রয়টার্স বলছে, সেসনা সি৫৫০ মডেলের ছোট এই ব্যবসায়িক জেট বিমানটি লাস ভেগাস থেকে যাত্রা করেছিল এবং লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে প্রায় ৮৫ মাইল (১৩৭ কিমি) দক্ষিণে রিভারসাইড কাউন্টির ফ্রেঞ্চ ভ্যালি বিমানবন্দরের কাছে ভোর চারটা ১৫ মিনিটের দিকে সেটি বিধ্বস্ত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ডের এভিয়েশনবিষয়ক তদন্তকারী এলিয়ট সিম্পসন এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেছেন, দুর্ঘটনায় যেসব যাত্রী ও পাইলট মারা গেছেন তারা সবাই প্রাপ্তবয়স্ক। ব্যক্তি মালিকানাধীন এই বিমানটি ছোট বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে ৩০০ ফুট দূরে বিধ্বস্ত হয় বলেও জানান তিনি।
এর মাত্র কয়েকদিন আগে গত ৪ জুলাই একই বিমানবন্দরের কাছে চার যাত্রী নিয়ে একটি ছোট বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানটির পাইলট নিহত হয় এবং অন্য তিন কিশোর আহত হয় বলে কর্তৃপক্ষ জানায়।
তবে শনিবারের ঘটনায় বিধ্বস্ত বিমানটির লেজ ছাড়া বাকি সব অংশে আগুন লেগে যায় বলে সিম্পসন বলেছেন।
স্থানীয় মিডিয়ার প্রকাশিত ভিডিওতে এয়ারফিল্ড থেকে রাস্তার পাশে মাঠের একটি অংশে ছোট ওই বিমানের কালো পোড়া ধ্বংসস্তূপ দেখা গেছে।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটঅ্যাওয়ার থেকে প্রাপ্ত রাডার ডেটায় দেখা যাচ্ছে, ঘটনার সময় লাস ভেগাস থেকে ফ্রেঞ্চ ভ্যালিতে ওই একটি মাত্রই বিজনেস জেট ভ্রমণ করছিল। আর অবতরণের চেষ্টার আগে প্লেনটি একবার ওই মাঠের কাছে প্রদক্ষিণ করেছিল।
ফ্রেঞ্চ ভ্যালি বিমানবন্দরটি রিভারসাইড কাউন্টিতে অবস্থিত। সেখানকার শেরিফের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, দুর্ঘটনার পর কর্মকর্তারা মাঠের মধ্যে আগুনে সম্পূর্ণরূপে নিমজ্জিত একটি বিমান দেখতে পান এবং পরে ঘটনাস্থলেই ছয় আরোহীকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
অবশ্য ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় তদন্ত চালিয়ে যাবে বলে সিম্পসন জানিয়েছেন। এছাড়া নিহতদের নামও প্রকাশ করেননি তিনি।