সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বের সঙ্গে সাম্প্রতিক আলোচনা খুবই উৎসাহজনক বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, এ নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। আজ মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ৯/১১-এর হামলার ২২তম বার্ষিকী উপলক্ষে এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

নাইন ইলেভেনের টুইন টাওয়ার ধ্বংসযজ্ঞের কথা স্মৃতিচারণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি দুঃখের সঙ্গে ৯/১১ টুইন টাওয়ার ধ্বংসযজ্ঞের কথা স্মরণ করছি। এ ঘটনায় ২ হাজার ৯৮৮ জন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন; যার মধ্যে ৬ জন বাংলাদেশের এবং ৩ জন আমার নিজের জেলা সিলেটের। আমরা তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। আমরা আশা করি, এমন ঘটনা আর কখনও হবে না।

তিনি বলেন, মার্কিন নেতৃত্বের সঙ্গে আমাদের সাম্প্রতিক আলোচনা খুবই উৎসাহজনক, এটি নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। সন্ত্রাস নির্মূলে তারা অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সন্ত্রাসবাদের প্রতি জিরো টলারেন্স নীতির কারণে সন্ত্রাসী হামলা, বোমা বিস্ফোরণ, গ্রেনেড হামলায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সকলের এ বিষয়ে আন্তরিকভাবে একসঙ্গে কাজ করা উচিত। যাতে কোনও অজুহাতে সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদের কুৎসিত চেহারাটি ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মতো উজ্জ্বল হয়ে উঠতে না পারে।

গত ৫ সেপ্টেম্বর ঢাকায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নবম নিরাপত্তা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এতে রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তায় বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার করে যুক্তরাষ্ট্র। বেসামরিক ও সামরিক নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করতেও একমত হয় দুই পক্ষ।

সংলাপে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা শাখার মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম ও মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের রাজনৈতিক-সামরিক বিষয়ক ব্যুরোর আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মীরা রাশনিক দুই পক্ষের নেতৃত্ব দেন।

সংলাপের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় রূপরেখা পারস্পরিক স্বার্থের ক্ষেত্রে প্রচলিত ও অপ্রচলিত নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

এছাড়াও আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, নিরাপত্তা সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা বাণিজ্য ও সহযোগিতা, সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস উগ্রবাদের মোকাবিলা, আন্তঃসীমান্ত অপরাধ ও ব্যাপক আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।

এছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তন, জ্বালানি নিরাপত্তা আন্তঃদেশীয় অপরাধের মতো অপ্রচলিত নিরাপত্তা নিয়েও দুই দেশের মধ্যে আলাপ হয়। যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহনীয়তা’ নীতির কথা জানায় বাংলাদেশ। সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস উগ্রবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার কথাও জানায় ঢাকা।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *