সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪

স্যাংশনসকে (নিষেধাজ্ঞা) দুর্নীতি দমনের টুল (হাতিয়ার) হিসেবে উল্লেখ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈশ্বিক দুর্নীতি দমন বিভাগের সমন্বয়ক রিচার্ড নেফিউ।

সোমবার (৭ আগস্ট) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি এ কথা জানান। এসময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস উপস্থিত ছিলেন। পরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে সচিব এ কথা জানান।

১১ জনের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আসছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তিনি (রিচার্ড) নিজেও যেহেতু স্যাংশনসের কর্মকর্তা ছিলেন এক সময়, সুতরাং কোনো ইন্ডিভিজ্যুয়ালের কথা বলেননি। বলেছেন, ‘স্যাংশনস ইজ অ্যা টুল’, এ ধরনের চিন্তাভাবনা আছে।

নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা বাংলাদেশের কিছু না। ওরা বলছে, বড় বড় প্রজেক্ট, ব্লু ডট প্রয়োগ। সেখানে ভবিষ্যতে বিনিয়োগ আসার ক্ষেত্রে ওই ধরনের প্রজেক্টকে অগ্রাধিকার দেবে। তবে ইন্ডিভিজ্যুয়ালের বিরুদ্ধে বা কোনো দেশের বিরুদ্ধে হবে কি না এগুলো নিয়ে আলাপ হয়নি।

টাকা পাচার নিয়ে নেফিউরের কোনো মতামত ছিল কি না জানতে চাইলে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, মানি লন্ডারিং তো দুর্নীতির একটি পার্ট। মানি লন্ডারিং নিয়ে আমরা আলাপ করেছি। আমরা বলেছি যেসব ব্যাংক বা ছোট ছোট আইল্যান্ড কান্ট্রি- সেগুলোতে সহজেই টাকা পাচারের বিষয় আছে। আমরা হুন্ডি নিয়ে কথা বলেছি। এগুলোতে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি থাকা দরকার। এটি কোনো একটি দেশ বা সংস্থার পক্ষে শতভাগ দেখা সম্ভব না। আমি সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছি। কারণ এটা সমাজে একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। তবে সব দেশেই এটা একটা সমস্যা। এমন কোনো দেশ পৃথিবীতে নেই যেখানে এ ধরনের সমস্যা নেই, কমবেশি সব জায়গায় আছে।

বাংলাদেশের দুর্নীতির চিত্র নিয়ে তাদের কোনো মতামত ছিল কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, না, এগুলো নিয়ে হয়তো অন্য জায়গায় আলোচনা হয়েছে। আমাদের সঙ্গে হয়নি

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *