যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে বন্দুক হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই প্রাপ্তবয়স্ক এবং তাদের মধ্যে নারীও রয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (১৫ জুলাই) সকালে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এই অঙ্গরাজ্যটির একটি শহরে এই হামলা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
অবশ্য হামলার পরপরই অভিযুক্ত হামলাকারী পালিয়ে যায় এবং তাকে এখনও আটক করা সম্ভব হয়নি। রোববার (১৬ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার সকালে জর্জিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত ছোট শহর হ্যাম্পটনে বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। পরে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সদস্যরা শনিবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে আন্দ্রে লংমোর নামে এক ব্যক্তিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসাবে চিহ্নিত করে। অভিযুক্ত এই ব্যক্তি হ্যাম্পটনের বাসিন্দা।
এনবিসি নিউজ বলছে, শনিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে অভিযুক্ত লংমোর চারজনকে গুলি করে হত্যা করে। নিহতদের তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
হ্যাম্পটন পুলিশ ডিপার্টমেন্টের প্রধান জেমস টার্নার গুলিবর্ষণের বিষয়ে বলেছেন, ‘হ্যাম্পটনে এটি দুঃখের দিন। এটা আমাদের জন্য স্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয় এবং আমরা সবাই একসাথে শোক করব। অভিযুক্ত ব্যক্তিটিকে বিচারের আওতায় আনতে নিজেদের ক্ষমতায় থাকা সবকিছু করবে পুলিশ বিভাগ।’
এদিকে শনিবারের এই বন্দুক হামলার কারণ ও এর উদ্দেশ্য ঠিক কী ছিল তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হয়নি। তবে নিহতদের কারও সাথে অভিযুক্ত লংমোর সম্পর্কিত ছিলেন কিনা তা তদন্ত করে দেখছেন কর্মকর্তারা।
এছাড়া লংমোরের গ্রেপ্তারে যেকোনো তথ্যের জন্য ১০ হাজার মার্কিন ডলার পুরষ্কারও ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের আপাতত লংমোরের কাছে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন হেনরি কাউন্টি শেরিফ রেজিনাল্ড বি. স্ক্যান্ড্রেট। কারণ অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি এখনও সশস্ত্র অবস্থায় রয়েছেন।
শনিবারের ব্রিফিংয়ে স্ক্যান্ড্রেট বলেন, ‘আপনি যেখানেই থাকুন না কেন, আপনি গর্তে লুকিয়ে থাকলেও আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হেফাজতে নিয়ে আসব।’