দর্শনীয় স্থানে ঘুরে বেড়ানো আর পড়াশোনার উদ্দেশ্যে প্রতি বছর বিশ্বের নানা প্রান্তের বহু মানুষ যুক্তরাজ্যে যান। এখন থেকে যারা দেশটিতে যাবেন তাদের ভিসার জন্য বাড়তি অর্থ গুনতে হবে।
বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে ভিসা ফি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। বর্ধিত এই ফি কার্যকর হবে আগামী ৪ অক্টোবর থেকে।
ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) শনিবার এক প্রতিবেদনে বলেছে, নতুন নির্ধারিত ফি অনুযায়ী যারা যুক্তরাজ্যে ৬ মাসের ভ্রমণ ভিসার জন্য আবেদন করবেন, তাদের ফি বাবদ দিতে হবে ১১৫ ব্রিটিশ পাউন্ড (বাংলাদেশি প্রায় ১৬ হাজার টাকা)। আর স্টুডেন্ট ভিসার জন্য গুনতে হবে ৪৯০ পাউন্ড (বাংলাদেশি প্রায় ৬৭ হাজার টাকা)।
আগে যুক্তরাজ্যে ভ্রমণ ভিসার ফি ছিল ১০০ পাউন্ড। অপরদিকে স্টুডেন্ট ভিসার ফি ছিল ৩৬৩ পাউন্ড। গতকাল শুক্রবার এ সংক্রান্ত একটি বিল দেশটির সংসদে উত্থাপন করা হয়।
গত জুলাইয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছিলেন, সরকারি কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির ব্যয় মেটাতে— ভিসা আবেদনকারীরা যে ফি ও ‘রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত জাতীয় স্বাস্থ্য সেবাকে (এনএইচএস) যে স্বাস্থ্য সারচার্জ’ প্রদান করে থাকেন সেটি বাড়ানো হবে। তার এই ঘোষণার দুই মাস পরই ভিসা আবেদনের ফি বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য।
তিনি বলেছিলেন, ভিসার ফি বাড়ানো হলে ব্রিটিশ সরকার বার্ষিক বাড়তি ১ বিলিয়ন পাউন্ড আয় করতে পারবে। ওই সময় দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিল, ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা সচল রাখতে এসব ফি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং নিজ দেশের নাগরিকদের ওপর করের বোঝা কমায়।
যুক্তরাজ্যের বর্ধিত ফি কার্যকর হবে প্রবেশ ছাড়পত্র এবং যুক্তরাজ্যে অবস্থান ও ত্যাগ করার আবেদনের ক্ষেত্রেও। যার মধ্যে কাজ ও পড়াশুনা ফির বিষয়টিও রয়েছে। এছাড়া স্পন্সরশিপ সার্টিফিকেটের ফি এবং কনফরমেশন ফর একসেপটেন্স ফর স্টাডি -এর ফিও এতে সংযুক্ত হবে।
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফি বৃদ্ধির বিষয়টি আগে সংসদে পাস হতে হবে, এরপর এটি আগামী ৪ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।