

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ডাকাতির ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ রোববার (১৩ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাক পরে ডাকাতির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত থাকলে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। বিষয়টা নিয়ে তদন্ত চলছে।
এর আগে, শনিবার (১২ অক্টোবর) ডাকাতির ঘটনায় আবু বক্কর সিদ্দিক নামের এক ব্যক্তির মামলা করেন।
জানা গেছে, শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৩টার দিকে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্যরা সেনাবাহিনী ও র্যাবের পোশাক পরে মোহাম্মাদপুরের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকার একটি বাসায় ডাকাতি করে। ওই সময়ে তারা নগদ ৭৫ লাখ টাকা ও ৬০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। একইসঙ্গে ভবনটিতে থাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরা ও আলমারি ভাঙচুর করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ৩টার দিকে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল চার থেকে পাঁচটি হাইস ব্র্যান্ডের গাড়ি নিয়ে আসে। এদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি লোক সেনাবাহিনীর পোশাক পরা ছিল। বাকি চার থেকে পাঁচজন র্যাবের কটি পরা এবং বাকি কয়েকজন সিভিলে ছিল। সেনাবাহিনীর পোশাক পরা যে কয়জন এসেছিল, তারা এমনভাবে এসেছিল যে বোঝার উপায় নেই তারা সেনাবাহিনীর সদস্য নয়। হেলমেটটা দেখেও সন্দেহ করার উপায় নেই।
ভুক্তভোগী আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, রাত সাড়ে ৩টার দিকে সেনাবাহিনীর পোশাক পরে কয়েকজন এসে আমাকে বাসার গেট খুলতে বলে। আমি বাসার গেট খুলে দিলে দুইজন এসে আমার দুই হাত ধরে বলে, তোর কাছে অস্ত্র আছে। অস্ত্রগুলো বের কর। আমি তখন বলি, আমার যে লাইসেন্স করা অস্ত্র ছিল তা থানায় জমা দিয়ে এসেছি। আমার কাছে কোনো অস্ত্র নাই। তখন তারা আমাদের আটকে রেখে পুরো বাসা তল্লাশি করে এবং নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে চলে যায়।
এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার বলেন, ডাকাতরা এমনভাবে এসেছে, তাদের দেখলে মনে হবে না তারা ভুয়া। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত ৬ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।