আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি যেন জাদুর পরশ। যেখানেই যান, ভেলকিবাজির মতো বদলে দেন পরিস্থিতি। আর্জেন্টিনার ড্রেসিং রুম তার এই জাদুর ছোঁয়াতেই বদলে গেছে। বিশ্বকাপের স্বাদ পেয়েছে আলবিসেলেস্তারা দীর্ঘ ৩৬ বছর পর । এবার মেসির ছোঁয়ায় বদলে গেল মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) দল ইন্টার মায়ামি। জিততে ভুলে যাওয়া দলটি পৌঁছে গেল লিগস কাপের ফাইনালে।
মেসি যোগ দেওয়ার আগে এমএলএসে মৌসুমে পাঁচটি ম্যাচও জিততে পারেনি মায়ামি। ২৯ দলের মধ্যে টেবিলের তলানিতেই অবস্থান করতো দলটি। মেসি যোগ দেওয়ার পর তারাই টানা জিতে চলছে। যার দরুন লিগ কাপের শিরোপার যোগ্য দাবিদার হয়ে উঠেছে ‘দ্য হেরনস’ খ্যাত দলটি।
মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর মেসির পারফর্ম্যান্সের দিকে তাকালেই ফুটে উঠবে ফাইনালের পথ। মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর এখন পর্যন্ত ৬টি ম্যাচে মাঠে নেমেছেন আর্জেন্টাইন জাদুকর। তাতে গোল করেছেন ৯টি। সতীর্থদের দিয়ে গোল করিয়েছেন ১টি। মাঠে ছিলেন ৪৭৪ মিনিট। সে হিসেবে প্রতিটি গোলের জন্য ব্যয় করেছেন ৫৩ মিনিট। অর্থাৎ মেসির উপস্থিতিতে উজ্জিবীতও হয়ে উঠেছে দল।
চলতি বছরের জুলাইয়ে মায়ামির হয়ে অভিষেক হয় মেসির। অভিষেক ম্যাচে সিডি ক্রুজের বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধে নেমে গোল করে দলকে এনে দেন জয়। পরের ম্যাচে আটলান্টার বিপক্ষে ৪-০ গোলের জয়ে ২ গোলের পাশাপাশি করেন ১ অ্যাসিস্ট। এরপর অরলান্ডোর বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয়ে আবারো করেন ২ গোল।
পরবর্তী ম্যাচে ডালহাসের বিপক্ষে ২ গোল করে ম্যাচ নিয়ে যান পেনাল্টি শ্যুটআউটে। এনে দেন নাটকীয় জয়। পরে কার্লোতের বিপক্ষেও করেন ১ গোল। সবশেষ ম্যাচে সেমিফাইনালে ফিলডেলফিয়ার বিপক্ষে ৪-১ গোলের জয়ে করেন আরো ১ গোল।
মেসি মায়ামিতে আগমনের পর এখন পর্যন্ত ছয় খেলায় ২১ গোল করেছে তার দল। যেখানে আগের ২২ ম্যাচে কেবল ২২ গোল করতে পেরেছিল মায়ামি। পরিসংখ্যানের দিকে তাকালেই অনেকটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে, মেসি কিভাবে বদলে দিয়েছেন মায়ামিকে। নেতৃত্ব, পারফর্ম্যান্স আর যোগ্যতা মিলিয়ে হয়ে উঠেছেন মধ্যমণি।
এক্ষেত্রে মেসিকে ম্যারাডোনার সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। ইতালির এক অখ্যাত ক্লাব নাপোলিকে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করেছিলেন ম্যারাডোনা। পূর্বসূরীর মতো জাদুর পরশে মায়ামিকেও বদলে দিচ্ছেন মেসি। যে জাদুর পরশে বদলে গেছেন রবার্ট টেলরের মতো অখ্যাত তরুণও।