

মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অবশিষ্ট ইন্টারনেট ডাটা, মিনিট ও এসএমএস পরবর্তী প্যাকেজে যুক্ত করতে সরকার ও কোম্পানিগুলোকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারী) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মিজানুর রহমান এ নোটিশ পাঠান বলে জানা গেছে। এতে বলা হয়, নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে হাইকোর্টে রিট করার কথাও বলা হয়েছে।
নোটিশটি ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, গ্রামীণ ফোন, রবি আজিয়াটা লিমিটেড, বাংলালিংক লিমিটেড ও টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড বরাবর আইনজীবী পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে দিনে ১৮৮.৭৮ মিলিয়ন মানুষ মোবাইল ব্যবহার করে এবং দিনে দিনে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশে প্রায় ১৩১ মিলিয়ন মানুষ মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক। তবে, বর্তমানে গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও টেলিটকের মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা প্যাকেজের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই আবার ডাটা প্যাকেজ না কিনে রাখলে সময়সীমা শেষ হওয়ার পর অব্যবহৃত ডাটা আর ব্যবহার করতে পারেন না।
বিশ্বের অধিকাংশ দেশে মোবাইল ডাটা প্যাক, মিনিট ও এসএমএসে এ সুযোগ থাকলেও বাংলাদেশে নেই। ফলে, মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা বিভিন্নভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
অবশ্য রোববার (১২ জানুয়ারি) বিটিআরসির জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়, গ্রাহক যাতে তার সুবিধা অনুযায়ী প্যাকেজ গ্রহণ করতে পারে, সে জন্য ‘ফ্লেক্সিবল প্ল্যান’ হিসেবেও একটি পাকেজ থাকবে। এ ছাড়া মেয়াদবিহীন প্যাকেজও থাকবে। তবে, সে ক্ষেত্রে সময়সীমা নির্ধারণ করে দিতে হবে। যেকোনো প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হওয়ার এক দিন আগে গ্রাহককে এসএমএসের মাধ্যমে সে বিষয়ে জানাতে হবে। কোনো ডাটা প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অব্যবহৃত ডাটা থেকে গেলে, তা ‘ক্যারি ফরওয়ার্ড’ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। অর্থাৎ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই যদি গ্রাহক একই প্যাকেজ আবার কেনে, তাহলে পরের প্যাকেজে অব্যবহৃত ডাটা ব্যবহার করা যাবে।