দেশের ১৪টি জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি আগামী দুদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, কোনো বিস্তৃত এলাকাজুড়ে নির্দিষ্ট সময় ধরে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি থাকলে মৃদু, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি থাকলে মাঝারি ও ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়ে বেশি হলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।
আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল ঈশ্বরদী ও চুয়াডাঙ্গায়। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা কমে যাওয়ায় সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট, চট্টগ্রামের খুলনা- দেশের এ পাঁচ বিভাগে কোনো বৃষ্টি হয়নি। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায়।
ঢাকা বিভাগের মধ্যে একমাত্র ঢাকায় দুপুরের দিকে এক পশলা বৃষ্টি হয়েছে। আজ ঢাকায় এক মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে তিনি বলেন, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
ফরিদপুর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও নীলফামারী জেলাসহ খুলনা বিভাগের (১০ জেলা) ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানান আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক।
তিনি আরও জানান, আগামী পাঁচ দিনে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।