নভেম্বর ২৯, ২০২৪

মূল্যস্ফীতি না কমলে জিনিসপত্রের দাম কমানো অসম্ভব হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। আজ বুধবার সচিবালয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি না কমলে জিনিসপত্রের দাম কমানো অসম্ভব হয়ে যায়। মূল্যস্ফীতি না কমা পর্যন্ত সব জিনিসের দাম বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে কমানো সম্ভব নয়, এটাও বুঝতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, আমদানি করা পেঁয়াজের স্টক শেষ হয়ে গেছে। দাম বেশী পড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা সম্ভব হচ্ছে না এখনই।

তিনি আরও বলেন, আমদানি করা আলু বাজারে মাত্র আসা শুরু করেছে। আরও আসতে থাকলে আলুর দাম কমে যাবে। একইসাথে নতুন আলু বাজারে আসতে আরও মাসখানেক সময় লাগবে। তখন দামে প্রভাব পড়বে।

তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি না কমলে জিনিসপত্রের দাম কমানো অসম্ভব হয়ে যায়। মূল্যস্ফীতি না কমা পর্যন্ত সব জিনিসের দাম বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে কমানো সম্ভব নয়, এটাও বুঝতে হবে।

টিপু মুনশি বলেন, বিশ্ব বাজারে জিনিসপত্রের দামের ব্যাপারে মিডিয়া যদি পজিটিভ খবর প্রচার করে তাহলে ভোটারদের উপর এর প্রভাব পড়বে না। পণ্যের দাম শুধু দেশেই বাড়েনি, সারা বিশ্বের চিত্র একই। তবে, এসব কাটিয়ে উঠে আগামীতে এর সুফলও পাবে মানুষ।

চিনির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, চিনির দাম কমানো যাবে না কারণ বিশ্ব বাজারে দাম কমে নি।

বাংলাদেশে ভোটের চিত্র একেক এলাকায় একেকরকম, তাই পণ্যের দামের কারণে ভোট কমে যাবে না এটা মনে করেন না বানিজ্যমন্ত্রী। বলেন, দেশে উৎপাদিত পণ্যের দাম বেড়ে যায় চাঁদাবাজি এবং পরিবহন খরচের কারণে। জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ার প্রভাবও এর উপর পড়ছে। তবে দেশীয় উৎপাদিত শাক-সবজি বাজারে আসতে শুরু করলে দুই এক সপ্তাহের মধ্যে দাম কমতে শুরু করবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর অনুমতি পেতে দেরি হওয়ায় পণ্য আমদানি করতে দেরি হয়। এ কারণে বাজারে দামও বেড়ে যায়। এর দোষ বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের না। বানিজ্য মন্ত্রণালয় চাইলেও সময়মত আমদানি করতে পারে না।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...