সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

শীতল যুদ্ধের পর থেকে সবচেয়ে বড় পূর্ব-পশ্চিম বন্দী বিনিময়ে মার্কিন সাংবাদিক ইভান গার্শকোভিচ এবং বার্লিনে এক হত্যাকান্ডের জন্য কারাগারে বন্দী একজন রুশ গোয়েন্দা কর্নেলসহ দুই ডজন বন্দী বৃহস্পতিবার মুক্তি পেয়েছে।

কয়েক মাসের গোপন আলোচনার পর একটি জটিল বহুজাতিক চুক্তির মাধ্যমে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদক এবং প্রাক্তন মার্কিন মেরিন পল হুইলান সহ অন্যদের মুক্তি দেয়া হয়। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় বিমানবন্দর টারমাকে একটি নাটকীয় বিনিময়ের মাধ্যমে তাদের মুক্তি দেয়া হয়।

উচ্ছ্বসিত পরিবারের সদস্যরা হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে উপস্থিত হয়েছেন। বাইডেন বলেছেন,তারা ওভাল অফিস থেকে তাদের মুক্তিপ্রাপ্ত প্রিয়জনকে ফোন করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘তাদের নৃশংস অগ্নিপরীক্ষা শেষ হয়েছে।’
চুক্তির অধীনে রাশিয়ান বন্দীদের মুক্ত করতে সম্মত করার জন্য বাইডেন মিত্র জার্মানি,পোল্যান্ড,স্লোভেনিয়া এবং নরওয়ের নেতাদেরকে এবং বন্দীদের হস্তান্তরের আয়োজনে সম্মত হওয়ার জন্য তুরস্ককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, পশ্চিমা ও রুশ ভিন্নমতাবলম্বী এবং মানবাধিকার কর্মীদের বিনিময়ে গুপ্তচরবৃত্তি এবং অন্যান্য অপরাধের জন্য আটক রাশিয়ানদের মুক্তি দেওয়ার জন্য ‘তারা সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে’। তুর্কি প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই শিশুসহ মোট ১০ জন রাশিয়ান এবং রাশিয়ায় বন্দী ১৬ জন পশ্চিমা এবং ভিন্নমতাবলম্বী রাশিয়ানদের মুক্তি দেয়া হয়েছে। মস্কোতে ফিরে আসা বন্দীদের মধ্যে ছিলেন একজন রাশিয়ান গোয়েন্দা এজেন্ট ভাদিম ক্রাসিকভ, যিনি জার্মানিতে

টিভির চিত্রগুলোতে দেখা যায়,প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন রাশিয়ান বন্দীদের মস্কো বিমানবন্দরে একটি লাল গালিচা স্বাগত জানান,তারা তাদের বিমান থেকে নামার সময় তাদের আলিঙ্গন করেন। পুতিন বলেন,মাতৃভূমিতে ফিরে আসার জন্য আমি আপনাদের অভিনন্দন জানাতে চাই।

বাইডেন এবং সম্ভাব্য ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট মনোনীত প্রার্থী, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস,ওয়াশিংটনের বাইরে মুক্তিপ্রাপ্ত মার্কিন বন্দীদেরকে দিন শেষে অভ্যর্থনা জানাবেন।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলেছে, তারা ৩২ বছর বয়সী গার্শকোভিচের মুক্তিতে ‘স্বস্তি অনুভব’ করছে। গার্শকোভিচ ২০২৩ সালের মার্চ মাসে রাশিয়ায় একটি রিপোর্টিং ট্রিপে আটক হয়েছিলেন এবং জুলাই মাসে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ১৬ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত হয়েছিল এবং যুক্তরাষ্ট্র এর নিন্দা জানিয়েছিল।

গার্শকোভিচের পরিবার একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা তাকে সবচেয়ে বড় আলিঙ্গন করার জন্য অপেক্ষা করতে পারি না এবং তার মিষ্টি এবং সাহসী হাসি কাছে থেকে দেখতে পাই না।’ বাইডেন পরে একটি বিমানে হাস্যোজ্জ্বল গার্শকোভিচ এবং অন্যান্য বন্দীদের একটি ছবি পোস্ট করেছেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *