সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট ইউ মিন্ট সোয়ে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, সীমান্ত অঞ্চলে সহিংসতা দমনে অকার্যকর ব্যবস্থাপনার কারণে দেশ ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে আছে।

সাবেক জেনারেল মিন্ট সোয়ে ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পরে প্রেসিডেন্ট হিসাবে নিয়োগ পেয়েছিলেন।

প্রেসিডেন্ট সোয়ে ক্ষমতাসীন সামরিক কাউন্সিলের এক জরুরি বৈঠকে বলেছেন, ‘সীমান্ত অঞ্চলে যেসব সহিংসতার ঘটনা ঘটছে তা সরকার কার্যকরভাবে দমন করতে না পারলে দেশ টুকরো টুকরা হয়ে ভেঙে পড়বে।’

চীন সীমান্তবর্তী শান রাজ্যের তিনটি জাতিগত বিদ্রোহী বাহিনীকে সমর্থন দিচ্ছে সরকারের বিরোধিতাকারী অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো। তারা কয়েক ডজন সামরিক পোস্ট দখল করেছে এবং সীমান্ত চৌকি ও চীনের সাথে স্থলপথে বাণিজ্য পরিচালনাকারী রুটগুলো দখল করে নিয়েছে।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতা দখলের পর থেকে জান্তার জন্য এটি সবচেয়ে গুরুতর ধাক্কা। আড়াই বছর সশস্ত্র বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করার পরে সামরিক বাহিনীকে দুর্বল এবং সম্ভবত পরাজিত দেখা যাচ্ছে।

সরকার বিমান হামলা এবং আর্টিলারি বোমা হামলা চালিয়েছে, হাজার হাজার মানুষকে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য করেছে। কিন্তু তারা শান রাজ্যে শক্তিবৃদ্ধি করতে বা হাতছাড়া এলাকা পুনরুদ্ধার করতে পারেনি। উত্তর শান রাজ্যে শত শত সেনা নিহত হয়েছে এবং বাহিনীর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অং কিয়াউ লুইনও নিহত হয়েছেন। অভ্যুত্থানের পর থেকে যুদ্ধে নিহত সেনাবাহিনীর সবচেয়ে সিনিয়র অফিসার তিনি।

২০২১ সালে অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সামরিক বাহিনী ও পুলিশ সহিংসভাবে দমন করেছিল। ওই সময় বিরোধী কর্মীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জান্তার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী সশস্ত্র বিদ্রোহের ডাক দেওয়া ছাড়া তাদের আর কোনো বিকল্প নেই। অনেকেই থাইল্যান্ড, চীন এবং ভারতের সাথে মিয়ানমারের সীমান্তে জাতিগত বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় পালিয়ে যায়। সেখানে তারা সামরিক প্রশিক্ষণের প্রত্যাশা করেছিল। কারেন, কাচিন, কারেনি এবং চিনের মতো কিছু সুপ্রতিষ্ঠিত জাতিগত বাহিনী, অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত সরকার প্রতিষ্ঠিত জাতীয় ঐক্য সরকারের সাথে নিজেদের জোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *