সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

দুর্নীতির দায়ে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন আবদুল গাইয়ুমকে গৃহবন্দি করা হচ্ছে।

অর্থপাচার ও ঘুষের দায়ে ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর ১১ বছরের কারাদণ্ড পাওয়ার পর থেকে বিরোধী দল পিপিএম-পিএনসি জোটের এই নেতা মাফুশি কারাগারে বন্দি আছেন।

পিপিএমের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আবদুল্লাহ ইয়ামিন আবদুল গাইয়ুমকে রোববার দুপুরে গৃহবন্দি করা হবে। এদিকে, মালদ্বীপের কারেকশনাল সার্ভিস জানিয়েছে, ইয়ামিনকে ‘সাময়িকভাবে’ হোম কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হচ্ছে।

ইয়ামিনের সমর্থকরা মালেতে আলিমাস কার্নিভালের কাছে দলের ‘ধীভেঙ্গে রাজে’ কেন্দ্রে জড়ো হতে শুরু করেছেন। ইয়ামিনের স্ত্রী ফাতিমাত ইব্রাহিমও ঘটনাস্থলে আছেন।

মালদ্বীপের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ মুইজ্জু—যিনি শনিবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহকে পরাজিত করেছেন— রাষ্ট্রপতিকে তার নির্বাহী ক্ষমতা ব্যবহার করে বিরোধী দল পিপিএম-পিএনসি জোটের নেতা আবদুল্লাহ ইয়ামিনকে গৃহবন্দি করার আহ্বান জানানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শনিবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান মোহাম্মদ মুইজ্জু, যা নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম সংবাদ সম্মেলন।

সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ মুইজ্জু প্রেসিডেন্ট সলিহকে তার নির্বাহী ক্ষমতা ব্যবহার করে সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন আবদুল গাইয়ুমকে কারাগার থেকে নিজ গৃহে এনে বন্দি করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এই পদক্ষেপ দেশের সর্বোত্তম স্বার্থে।

কারাবন্দি থাকা সত্বেও ইয়ামিন পিপিএম-পিএনসির হয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে, দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়, যা বর্তমানে উচ্চ আদালতে বিচারাধীন আছে।

পিপিএম-পিএনসি’র অন্য নেতাদের সঙ্গে মোহাম্মদ মুইজ্জু অভিযোগ করেছেন, প্রেসিডেন্ট সলিহ প্রশাসন ইয়ামিনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাকে প্রভাবিত করছে।

মুইজ্জু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, নির্বাচিত হলে সরকারি প্রভাব কমানো হবে এবং ইয়ামিনের সঙ্গে ন্যায্য আচরণ নিশ্চিত করা হবে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *