কয়েক বছর আগেও মিচেল মার্শকে সীমিত ওভারের ক্রিকেটার হিসেবে বিবেচনা করা হতো। তবে মার্শ জানিয়েছিলেন টেস্ট দলে নিয়মিত হওয়াই তার লক্ষ্য।
এক বছরের ব্যবধানে বদলে গেছে মার্শের পরিচিতি। এখন সাদা পোশাকের ক্রিকেটেও তিনি অস্ট্রেলিয়া অন্যতম সেরা ভরসা।
এ বছর ৪ টেস্ট খেলে ৬৭.১৬ গড়ে ৪০৩ রান করেছেন মার্শ, তাও স্ট্রাইক রেট ৭৩.৪০। অন্যদিকে আগের বছরগুলোতে ৩২ টেস্টে মার্শের স্ট্রাইক রেট ছিল ৫০.৬৮। পাকিস্তানের বিপক্ষে চলতি টেস্ট সিরিজেও ব্যাট হাতে পারফর্ম করেছেন মার্শ।
পার্থে সিরিজের প্রথম টেস্টে ৯০ রানের পর ৬৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন তিনি। মার্শ মনে করেন এই টেস্টের পারফরম্যান্সের পর এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার মনে করেন নিজের টেস্ট খেলার ধরনটা খুঁজে পেয়েছেন তিনি। নিজেকে এখন তার একজন টেস্ট ক্রিকেটার মনে হচ্ছে।
নিজের ব্যাটিং নিয়ে মার্শ বলেন, আমি পার্থে যেভাবে ব্যাটিং করেছি সেভাবেই আমি আমার ক্রিকেট খেলতে চাই। শেষ চার টেস্টে আমি আমার পথ খুঁজে পেয়েছি এবং (বুঝতে পেরেছি) আমি টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে কি। আমি এভাবেই খেলতে ভালোবাসি।
মার্শ করেন তার স্টিভেন স্মিথ বা মার্নাস ল্যাবুশেনের মতো তার কৌশল নেই। তাদের মতো লম্বা সময় ধরে উইকেটে থাকা এবং ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে বল ছেড়ে দেয়ার কৌশল আয়ত্ব করতে চান তিনি। মার্শ অন্য সতীর্থদের মধ্যে ডেভিড ওয়ার্নার, উসমান খাওয়াজাকেও অনুসরণ করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে মার্শ বলেন, আমি দীর্ঘ ইনিংস খেলার চেষ্টা করছি এবং স্টিভ স্মিথ এবং ডেভি (ডেভিড ওয়ার্নার) এবং উজির (উসমান খাওয়াজা) এবং যারা ব্যাটিংয়ে নেমে ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যাট করে। আমার স্মুডি (স্মিথ) ও মার্নাসের মতো কৌশল নেই, তারা লম্বা সময় ধরে খেলতে পারে, বল ছেড়ে দিতে পারে এবং ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার করে দিতে পারে। আমিও সেই পর্যায়ে যেতে চাই।
মার্শের লক্ষ্য ছিল টেস্ট দলে ফিরে নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেলা। সে জায়গায় নিজেকে সফলই মনে করছেন এই অলরাউন্ডার।
তার ভাষ্য,আমি জানি আমি যখন ভালো নিবেদন দেখাবো আমি আরও ভালো পর্যায়ে যাবো এবং আমি ভালো বলগুলোও ডিফেন্ড করতে পারব। কিন্তু সব মিলিয়ে আমি বিপক্ষ দলগুলোকে চাপে ফেলতে পারব। আমি শুধু চাইছিলাম টেস্ট দলে ফিরে আসতে এবং আমি নিজের মতো হওয়ার চেষ্টা করতে চেয়েছি।