

রোহিঙ্গা বিষয়ে আলোচনা করতে আজ সন্ধ্যায় দুই দিনের ঢাকা সফরে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সিলর ডেরেক এইচ শোলে।
মার্কিন এ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে মনে করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে এবারও অনুষ্ঠিতব্য গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ পায়নি বাংলাদেশ।
এ সফরে অগ্রাধিকার বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, নিয়মিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে। রোহিঙ্গা বিষয়ে ডেরেক এইচ শোলের বাড়তি আগ্রহ রয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র সফরে সাইডলাইনে তাঁর সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল। তখন রোহিঙ্গা বিষয়ে তিনি অনেক আগ্রহ ও উৎসাহ প্রকাশ করেছিলেন। সে সময়ে বাংলাদেশ বিস্তারিত তুলে ধরেছিল। রোহিঙ্গার পাশাপাশি সব বিষয়েই এবার আলোচনা হবে।
ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল (আইপিএস) নিয়ে আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, অনেকগুলো বিষয়ের মধ্যে এটিও একটি বিষয়। তবে আলাদা করে কোনো অগ্রাধিকার নেই। বৈঠকের আলাদা কোনো এজেন্ডাও পায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ধারাবাহিক যে বৈঠকগুলো হয়ে গেল, সেই বৈঠকের বিষয়গুলো নিয়েই হয়তো আলোচনা হবে।
সম্প্রতি ঢাকা সফর করে যাওয়া মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু এ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার কাছে তাঁর কাজের জবাবদিহি করেন। ডেরেক এইচ শোলের সফরের আগেই মার্কিন একটি অগ্রবর্তী দল বাংলাদেশে এসেছে। তাঁরা রোহিঙ্গা শিবির সরেজমিন পরিদর্শন ও শোলের কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।
সফরকালে আগামীকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে ডেরেক শোলের। এ ছাড়া সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। আগামীকালই তিনি ঢাকা ছাড়বেন।
মার্কিন এই কর্মকর্তার সফরে রোহিঙ্গা সংকটকে বেশি ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া দ্বিপক্ষীয় সব বিষয়ে আলোচনা করবেন তিনি। তবে রোহিঙ্গা সংকট ও মানবিক সহায়তার বিষয়ে জোর দিলেও দ্বিপক্ষীয় যে কোনো বিষয়ে দুই দেশের আলোচনার সুযোগ রয়েছে এ সফরে। সম্প্রতি ডোনাল্ড লুর সফরে মানবাধিকার, গণতন্ত্র, নির্বাচনের মতো বিষয়গুলোতে ইতোমধ্যে আলোচনা হয়েছে। ফলে এত কম সময়ের মধ্যে একই বিষয়ে বৈঠক আশা করছে না ঢাকা। তারপরও সব বিষয়ে পূর্ণ প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। সফরে রোহিঙ্গা সংকটের পাশাপাশি ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল (আইপিএস), সামরিক চুক্তি জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন এগ্রিমেন্ট (জিএসওএমআইএ) ও অ্যাকুইজিশন ক্রস সার্ভিস এগ্রিমেন্ট (এসিএসএ), ইউক্রেন সংকট, নিরাপত্তা, শান্তিরক্ষা ও প্রতিষ্ঠা, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।