গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতন হয়। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান। এরপর গত ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। এরপর থেকেই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের বিভিন্ন দুর্নীতি, গুম, খুনের দায়ে ও ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহতের ঘটনায় গণহত্যার অভিযোগে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক মামলা দায়ের হতে থাকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ আগস্ট থেকে আজ বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) পর্যন্ত মোট ২১ দিনে শেখ হাসিনার নামে সর্বমোট ১০০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গত ১৩ আগস্ট প্রথম রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা হয়।
হত্যা মামলাগুলোর মধ্যে ১৩ আগস্ট একটি, ১৪ আগস্ট একটি, ১৫ আগস্ট তিনটি, ১৬ আগস্ট ঢাকা ও বগুড়ায় পৃথক দুটি, ১৭ আগস্ট ঢাকা ও চট্টগ্রামে পৃথক তিনটি, ১৮ আগস্ট ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় আটটি, ১৯ আগস্ট ঢাকা ও চট্টগ্রামে চারটি, ২০ আগস্ট ঢাকা, বগুড়া, জয়পুরহাট, রংপুর, ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জে ১০টি, ২১ আগস্ট ঢাকায় পাঁচটিসহ গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও ফতুল্লা, আশুলিয়া ও চট্টগ্রামে ১০টি, ২২ আগস্ট ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ১০টি, ২৩ আগস্ট ঢাকাসহ সারাদেশে ১৪টি এবং ২৫ আগস্ট বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনাসহ দুটি ছাড়াও রাজধানীতে আরও ১০টিসহ মোট ১০০টি হত্যা মামলা হয়েছে।
সবশেষ বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) শেখ হাসিনাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর খিলগাঁও থানায় হত্যা মামলা হয়। খিলগাঁও থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন আদালত।