সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

সাগরপথে বাংলাদেশের বাণিজ্য খাতে নতুন স্বপ্নের দুয়ার উন্মুক্ত করতে যাচ্ছে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর।আগামীকাল (শনিবার) কক্সবাজারের মহেশখালীতে নির্মাণাধীন দেশের প্রথম এই গভীর সমুদ্র বন্দরের চ্যানেলের উদ্বোধন ও প্রথম টার্মিনাল নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভবিষ্যতে এই বন্দর দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্য ও অর্থনীতির হাব হবে বলে আশাবাদ সংশ্লিষ্টদের।

বন্দর কেন্দ্রিক বাণিজ্যের নতুন এক সম্ভাবনার নাম এখন বাংলাদেশের মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর। কক্সবাজারের মহেশখালীতে নীল জলরাশির মাঝে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন দেশের প্রথম এ গভীর সমুদ্র বন্দরে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ।

এরই মধ্যে জাইকার অর্থায়নে সাগরে ১৪ দশমিক ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ অ্যাপ্রোচ চ্যানেল তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। ৩৫০ মিটার প্রশস্ত এই চ্যানেল পুরোপুরি প্রস্তুত। শনিবার ১১ই নভেম্বর এর উদ্বোধন ও প্রথম টার্মিনালের নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যেখানে ভিড়বে সর্বোচ্চ ১৮ মিটার ড্রাফটের বড় জাহাজ। এর ফলে ট্রানিজট ছাড়াই ইউরোপ আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন বন্দরে সরাসরি পণ্য পরিবহন করা যাবে। সূত্র বৈশাখি টিভি।

প্রথম ধাপে একসাথে চারটি জাহাজ ভিড়তে পারবে এ বন্দরে। পরে এর সক্ষমতা আরো কয়েকগুণ বাড়ানো হবে বলে জানান চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল।

বৃহস্পতিবার (৯ ই নভেম্বর) মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর এলাকা পরিদর্শন শেষে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয় দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের জন্য এই বন্দর হবে অর্থনৈতিক হাব। এ বন্দরকে ঘিরে সড়ক পরিবহনসহ একগুচ্ছ উন্নয়ন পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

মাতারবাড়ীর গভীর সমুদ্র বন্দরের নির্মাণকাজ ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। সাগরপথে বিশ্ববাণিজ্যে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর নতুন এক দ্বার উন্মুক্ত করল। এর ফলে ট্রানজিট ছাড়াই বিশ্বের যে কোন বন্দর হতে সরাসরি পণ্য পরিবহন করতে পারবে ব্যবসায়ীরা । এতে পরিবহন ব্যড ও সমড দুটোই কমে আসবে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *