নভেম্বর ১৫, ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় রিমালের অজুহাতে দাম বেড়ে গেছে সবজিসহ প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের। বাজারে প্রত্যেকটা জিনিষই বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। মাছ থেকে সবজি সব কিছুর দাম আকাশছোঁয়া। বাজারে গিয়ে হিমসিম অবস্থা সাধারণ ক্রেতাদের। আর বিক্রেতারা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে অনেক ফসল নষ্ট ও সরবরাহ কম থাকায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

আজ শুক্রবার (৩১ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মিরপুর, যাত্রাবাড়ি, শ্যামপুর, হাতিরপুলসহ বিভিন্ন বাজরে ঘুরে দেখা গেছে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সব কিছু। কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে কাঁচা মরিচের কেজি ১৬০-১৮০ টাকারও বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, বাজারে পেঁপে ৫০-৬০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, টমেটো ৪০-৫০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, ধুন্দল ৪০ টাকা ও চিচিঙ্গা ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি কচুর লতি ৫০-৭০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা ও কাঁকরোল ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

কিছুটা বেড়েছে পেঁয়াজের দামও। ঈদ আসার আগেই কেজিপ্রতি ৫-১০ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, রসুন ও আদা বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২৪০ টাকায়। বাজারে কেবল তুলনামূলক কমদামে বিক্রি হচ্ছে ঢেড়স ৩০ টাকা ও বেগুন ৩০-৩৫ টাকা কেজিতে।

ইলিশ বাদে স্বস্তির খবর নেই মাছের বাজারেও। নতুন করে না বাড়লেও দাম কমেনি। মাছের বাজারে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বড় রুই মাছ ৩৫০-৪৫০ টাকা, মাঝারি রুই ২৬০-৩০০ টাকা, রুই মাছের পোনা ২০০-২৫০ টাকা, কাতলা ৩০০-৩৫০ টাকা, বড় পাঙাশ ২০০-২৫০, ছোট পাঙাশ ১৫০-২০০ টাকা, পাবদা (আকারভেদে) ৩০-৫০০ টাকা, গলদা চিংড়ি (আকারভেদে) ৬০০-৮০০ টাকা ও শিং মাছ (দেশি ও থাই) ৩০০-৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

আবার ছোট, মাঝারি, বড় ইলিশ যথাক্রমে ৭০০-৮০০, ১০০০-১৩০০ ও ১৪০০-২০০০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ছোট মাছও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। কাঁচকি মাছ ৩০০ টাকা, মলা মাছ ৩০০-৪০০ টাকা, কৈ মাছ ৩৬০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিকে সামুদ্রিক মাছের মধ্যে সুরমা, রুপচাঁদা, লাল কোরাল এবং বাটা মাছ ২০০-১২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারভেদে এসব মাছের দাম ১০-৩০ টাকা পর্যন্ত কমবেশি হতে দেখা গেছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...