ব্যারিকেডের উপরে উঠে স্লোগান দিচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা। মিছিল এবং জমায়েত থেকেও স্লোগান উঠছে, “দাবি এক, দফা এক, মমতার পদত্যাগ।” আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড ঘিরে উত্তাল পুরো পশ্চিমবঙ্গ। আজ মঙ্গলবার এক দফা দাবিতে রাজ্য সচিবালয় ঘেরাও করছে হাজার হাজার মানুষ। সকালের দিকে সচিবালয় অভিমুখে ‘নবান্ন অভিযান’ শুরু করে শিক্ষার্থীদের অরাজনৈতিক সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ।
বিক্ষোভকারীদের অনেকের হাতে থাকা কালো পোস্টারেও দেখা গেছে এক দফার স্লোগান। কারও কারও হাতে রয়েছে জাতীয় পতাকা। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে তারা নবান্নে যেতে চান। কিন্তু পুলিশ তাদের বাধা দিচ্ছে।
মহাত্মা গান্ধী রোডে পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে বিক্ষোভকারীদের দিকে জলকামান ছোঁড়ে পুলিশ। এসময় ধরপাকড়ও হয়।
অনেকে অভিযোগ করেন শান্তিপূর্ণ মিছিল হচ্ছিল। কিন্তু কারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়েছে, তা বুঝতে পারেননি তারা।
এদিকে নবান্ন অভিযানকে কটাক্ষ করে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “কিসের অরাজনৈতিক আন্দোলন? উদ্যোক্তারা নিজেরা স্বীকার করে নিয়েছেন তারা আরএসএস। তার পরেও কারা এটাকে অরাজনৈতিক আন্দোলন বলছেন।”
এদিকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়ছেন বিক্ষোভকারীরা, এমন অভিডোগও রয়েছে। ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন কয়েকজন পুলিশকর্মী।
হাওড়া সেতুতেও পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেছে বিক্ষোভকারীরা। এসময় জলকামান চালানো শুরু করে পুলিশ। ব্যবহার করা হচ্ছে কাঁদানে গ্যাসও। চলছে লাঠিচার্জ।
আন্দোলনকারীরা যাতে গার্ডরেল কিংবা ব্যারিকেড ধরে ঝাঁকাতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে সেগুলির উপরে দেওয়া হচ্ছে গ্রিজ এবং মোবিলের পরত। এই ভাবে আন্দোলনকারীদের আটকানোর পরিকল্পনা অভিনব বলেই মনে করছেন অনেকে।
এর মাঝেই সকাল ১১টার দিকে রাজ্য সচিবালয় নবান্নে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা সচিবালয় এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে ৬ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য। তবে বিক্ষোভকারীরা শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সচিবালয় অভিমুখে অগ্রসর হতে শুরু করেছে।
এই পরিস্থিতিতে এখন পর্যন্ত প্রাণহানির কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে দেশটির সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস