ছাত্র আন্দোলনকে উসকে দেওয়ার জন্য যেসব মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী দায়ী তাদের মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় শরিক দলের শীর্ষ নেতারা।
শনিবার (৩ আগস্ট) গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তারা এ দাবি জানান। বৈঠকে উপস্থিত নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বৈঠক করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। এরপর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
বৈঠকের ব্যাপারে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, আমি ও পার্টির সাধারণ সম্পাদক জোটনেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। সেখানে ছাত্র আন্দোলন নিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে কী কী করণীয় তা জানতে চেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের জানিয়েছেন, ছাত্রদের সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। আলোচনার জন্য গণভবনে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, বৈঠকে এক নেতা প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, সব দাবিই মেনে নিচ্ছেন, তাহলে আগে মেনে নিলে ভালো হতো। ছাত্র আন্দোলন উসকে দেওয়ার জন্য যেসব ব্যক্তি (মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী) দায়ী তাদের বিদায় করুন। মন্ত্রিসভায় রদবদল আনুন। সাধারণ ছাত্রদের গ্রেপ্তার বন্ধ করাসহ গণগ্রেপ্তার বন্ধ করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছি।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী ছাত্রদের আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গণভবনের দরজা খোলা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এসময় জোটের শীর্ষ নেতাদের ছাত্রদের সঙ্গে সংঘাত-সংঘর্ষ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আলোচনা করে শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে চাই। কিন্তু ছাত্ররা আলোচনা প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের তৃতীয় পক্ষ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করছে।
ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, দেশের সার্বিক পরিবেশ-পরিস্থিতি নিয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। সমস্যা কীভাবে সমাধান হবে সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত তুলে ধরেছেন। তিনি শিক্ষার্থীদের দাবি সহনশীলতার সঙ্গে মেনে নিয়েছেন। এছাড়া শিক্ষার্থীরা যেন হয়রানির শিকার না হয় এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেন খুলে দেওয়া যায় সে বিষয়ে চেষ্টা করছেন।
প্রসঙ্গত, রাশেদ খান মেনন ও বাদশা বের হওয়ার পর গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। তবে তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কী আলোচনা হয়েছে, তা জানা সম্ভব হয়নি।