আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা কমিটির দাতা সদস্যের ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক ছাত্রীকে বিয়ে করাকে ‘বিকৃত রুচির লক্ষণ’ বলে বর্ণনা করেছেন হাইকোর্ট।
আজ সোমবার আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের আগাম জামিন আবেদন শুনানিতে বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।
শুনানি শেষে আদালত মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দেন।
রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক ছাত্রীকে বিয়ের ঘটনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন ছাত্রীর বাবা। মামলায় অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আজ শুনানিতে হুইল চেয়ারে করে আদালতে হাজির হন অধ্যক্ষ। এ সময় হাইকোর্ট বলেন, ‘উনি কে? হুইল চেয়ারে কেন?’ জবাবে অধ্যক্ষের আইনজীবী রেদোয়ানুল করিম বলেন, ‘উনি আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ। পা ভেঙে যাওয়ায় তিনি হুইল চেয়ারে করে এসেছেন।’ আদালত বলেন, ‘আমরা তো গণমাধ্যমে দেখেছি উনি ছাত্রীকে নিয়ে আসামির বাগানবাড়িতে প্লেজার ট্রিপে গিয়েছেন। এটা কীভাবে সম্ভব?’ এ সময় সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান লিখন বলেন, ‘পিকনিকে গিয়েছিলেন।’
আইনজীবী রেদোয়ানুল করিম বলেন, ‘আসামির সঙ্গে ওই ছাত্রীর বিয়ে হয়ে গেছে।’ আদালত বলেন, ‘এ তো বিকৃত রুচির লক্ষণ। ওই ছাত্রী কোন ক্লাসে পড়ে?’ আইনজীবী বলেন, ‘ইন্টারমিডিয়েটে।’ আদালত বলেন, ‘বয়স কত হয়েছে?’ আইনজীবী বলেন, ‘১৮ বছর ৬ মাস পূর্ণ হয়েছে।’
এ পর্যায়ে হাইকোর্ট বলেন, ‘মেয়ের বয়স ১৮ বছরের ওপরে। যখন ভিকটিম সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভে এসে বলে আমি স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছি তখন কি মামলা থাকে? আমরা যদি ওই লাইভ না দেখতাম তাহলে বিষয়টি অন্যভাবে বিবেচনার সুযোগ ছিল। এ যেন প্রেমের মড়া জলে ডোবে না’র মতো অবস্থা!’
অধ্যক্ষের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।