সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ মোকাবেলায় জেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় জানানো হয়- ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ মোকাবেলায় জেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৭৪৩ টি সাইক্লোন সেল্টার। ১৩ হাজার ৮৬০ জন সিপিপি ও ২ হাজার রেড ক্রিসেন্টের সেচ্ছাসেবক। দুর্যোগকালীন সময়ের জন্য গঠন করা হয়েছে ৯৮টি মেডিকেল টিম। একইসাথে খোলা হয়েছে জেলার ৭ উপজেলায় ৮টি কন্ট্রোল রুম।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবেলায় জেলার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করতে সিপিপি ও রেডক্রিসেন্ট’র সদস্যরা কাজ করছে। সাগরে থাকা সকল মাছ ধরার ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনা হয়েছে। প্রস্তুতকৃত ৭৪৩টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। অধিক ঝুঁকিতে থাকা চরাঞ্চলের মানুষদের কোস্টগার্ডের মাধ্যমে মূলভূখন্ডে নিরাপদে আনার কাজ চলছে।

তিনি জানান, প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্রে আসা মানুষদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রাখা হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ইউনিয়ন থেকে শুরু করে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে সকলের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় হামুন মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতির কথা জানান জেলা প্রশাসক। সূত্র বাসস।

সভায় জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহিদুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তামিম আল ইয়ামীন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম, জেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির উপ-পরিচালক মো আব্দুর রশিদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে ভোলায় সকাল থেকেই আকাশ মেঘে ঢাকা রয়েছে। একইসাথে গুড়ি-গুড়ি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ক্রমশই উত্তাল হয়ে উঠছে মেঘনা নদী।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *