ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন কীভাবে করবে সেটি পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ব্যাপার। নির্বাচন সম্পন্ন করার একটা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে। এই সময়সীমার ভেতরে থেকে ভোট সম্পন্ন করতে হবে। এমতাবস্থায় নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে ভোট কিছুদিন পেছানো দরকার সেটি তারা করতে পারে। এখানে আওয়ামী লীগ বা সরকারের কিছু বলার নেই।

কমনওয়েলথের প্রাক নির্বাচনী দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে আজ বুধবার তেজগাঁওয়ের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, ‘জাতীয় পার্টি নির্বাচন পেছানোর দাবি করেছে। এটা নির্বাচন কমিশনের বিষয়। তারা যদি করে আওয়ামী লীগের আপত্তি নাই।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব সংস্থা রয়েছে যাদের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে দলের প্রার্থীদের মনোনয়নের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রক্রিয়াটা গণতান্ত্রিক।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকার কী হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক সমঝোতা এখনও হয়নি। বিএনপি বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। সংঘাতময় রাজনৈতিক এমন পরিস্থিতির মধ্যেই সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।’

কমনওয়েলথের প্রাক নির্বাচনী দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বুধবার তেজগাঁওয়ের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। ভোট হবে ৭ জানুয়ারি।

এদিকে রোববার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন পেছানোর অনুরোধ করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্টপোষক রওশন এরশাদ।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...