ভোটের দিন সকালে নির্বাচনী কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। দুর্গম এলাকায় ব্যালট পেপার সকালে পাঠানো সম্ভব হবে না, সেগুলোর বিষয়ে কমিশনের অনুমতি নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।আজ সোমবার (১৮ জানুয়ারি) রিটার্নিং কর্মকর্তাদের এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান।
পরিপত্রে আরও বলা হয়, নির্বাচনে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন প্রকারের ফরম, প্যাকেট, ম্যানুয়েল, নির্দেশিকা, পোস্টার, লিফলেটসহ যাবতীয় মুদ্রণসামগ্রী গভর্নমেন্ট প্রিন্টিং প্রেস থেকে এবং নির্বাচনী দ্রব্যাদি (স্ট্যাম্প প্যাড, অফিসিয়াল সিল, মার্কিং সিল, ব্রাশ সিল, লাল গালা, অমোচনীয় কালির কলম, হেসিয়ান বড় ব্যাগ, হেসিয়ান ছোট ব্যাগ, চার্জার লাইট, ক্যালকুলেটর, স্ট্যাপলার মেশিন ও স্ট্যাপলার পিন) নির্বাচন ভবনের গোডাউন থেকে সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, কোনো অসঙ্গতি দেখা দিলে তাৎক্ষণিক নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব (নির্বাচন পরিচালনা-১) বা সহকারী সচিবকে (ক্রয় ও মুদ্রণ) জানাতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সিনিয়র জেলা নির্বাচনর অফিসার বা জেলা নির্বাচন অফিসার কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন।
এতে আরও বলা হয়, এ লক্ষ্যে পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা ও সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। প্রয়োজন অনুসারে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় হতে বিভাগ বা আঞ্চলিক বা জেলা পর্যায়ে নির্বাচনী দ্রব্যাদি পরিবহনে বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। বিভাগ বা আঞ্চলিক পর্যায় হতে জেলা সভায় এবং জেলা পর্যায় হতে উপজেলা পর্যায়ে দ্রব্যাদি পরিবহন ও বিতরণে অনুরূপ নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
উল্লেখ্য, এবার দলীয় ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মোট প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আছেন ১ হাজার ৮৯৬ জন। তাদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন প্রায় সাড়ে তিনশ জন, বাকিরা দলীয় প্রার্থী। নিবন্ধিত ৪৪ দলের মধ্যে ভোটে আছে ২৮টি। অন্যদিকে বিএনপিসহ ১৫টি দল ভোট বর্জন করেছে।