নির্বাচনী ফলাফল দ্রুততার সঙ্গে পাঠানোর সুবিধার্থে সংশ্লিষ্ট এলাকার টেলিফোন, ফ্যাক্স, ইন্টারনেট সংযোগ পুরোপুরি সচল রাখতে নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সেইসঙ্গে এ বিষয়ে দক্ষ কর্মকর্তাদের দ্বারা নির্বাচনি ফলাফল সমন্বয়, একত্রীকরণ ও প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক-৬ পরিপত্রে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, কোনো অবস্থাতেই জেলা প্রশাসক অথবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশ ছাড়া বেসরকারি যানবাহন রিকুইজিশন করা যাবে না। ভোটকেন্দ্রের ৪০০ গজ ব্যাসার্ধের মধ্যে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অথবা তার পক্ষে ক্যাম্প স্থাপন না করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ নিষেধাজ্ঞায় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৭৯(৪) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত রিটার্নিং অফিসারের এখতিয়ার ক্ষুণ্ণ হবে না, ভোটকেন্দ্রে কোনো প্রকারের দাঙ্গা, সন্ত্রাস বা অনিয়ম সংঘটিত হলে কিংবা আইন ও বিধির কোনো ব্যত্যয় ঘটলে আইনানুগভাবে ভোটগ্রহণ করতে হবে।
পরিপত্রে আরও বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনী নিজ নিজ সংস্থার যানবাহন ব্যবহারকে অগ্রাধিকার দেবে, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে যথাযথ বিধি-বিধান অনুসরণ করে অধিযাচনকৃত ও ভাড়াকৃত যানবাহন ব্যবহার করবে; এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের সুবিধার্থে জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণসহ নিবন্ধিত স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে যৌথ সভা আয়োজন করতে হবে। ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পর এখন চলছে প্রচারণা। এটি শেষ হবে ৫ জানুয়ারি। এক দিন বিরতি দিয়ে ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।