রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে দাম নিয়ন্ত্রণে পরিশোধিত-অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেল আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট মওকুফ সুবিধা আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সই করা পৃথক আদেশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের অস্থির মূল্য পরিস্থিতির প্রভাব রুখতে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পরিশোধিত/অপরিশোধিত পাম অয়েলের আমদানিতে শুধু ৫ শতাংশ বহাল রেখে সমুদয় অন্যান্য ভ্যাট প্রত্যাহার করে এনবিআর। ২০২২ সালের মার্চে দেওয়া এ সংক্রান্ত নির্দেশের মেয়াদ পরে ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপর ৩ জুলাই সে মেয়াদ বাড়িয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করে এনবিআর। তৃতীয় দফায় সেই সুবিধার মেয়াদ আবার তিন মাস বাড়িয়ে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়।
গত ১৪ মার্চ সয়াবিন ও পাম তেলের উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং ব্যবসায় পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে এনবিআর। এর দুইদিন পরে ভোজ্যতেল আমদানি পর্যায়ে আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছিল।
গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) অব্যাহতির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর সুপারিশ করে এনবিআরকে চিঠি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
চিঠিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন, পরিশোধিত-অপরিশোধিত পাম তেলের মূল্য কিছুটা হ্রাস পেলেও ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারে পণ্যের মূল্য আনুপাতিক হারে হ্রাস করা সম্ভব হচ্ছে না। সরকারি হিসাবেই আগে ১ ডলার সমান ৮৬ টাকার স্থলে বর্তমানে ১ ডলার সমান ১০৬ টাকা বা তার বেশি। এ করণে আসন্ন রমজান ও ঈদুল ফিতরে ভোজ্যতেলের মূল্য ও সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
বর্তমানে বছরে দেশে ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা আছে। এর মধ্যে ২ লাখ টন স্থানীয় বাজার থেকে সংগ্রহ করা হয়। বাকি ১৮ লাখ টন আমদানি করা হয় বলে জানা গেছে।