ভুল-ত্রুটি হলে অন্তর্বর্তী সরকারকেও ছাত্র সমাজ চাপে রাখবে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। আজ মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আন্দোলনে আহত ১৪০ জনের সবশেষ পরিস্থিতি দেখার পর এমন কথা বলেন তিনি।
এ সময় আন্দোলনে আহতরা এখনও পর্যাপ্ত সহযোগিতা পাচ্ছে না অভিযোগ করে সারজিস আলম বলেন, লাল ফিতার দৌরাত্ম্যের কারণে সরকারি সহায়তায় বিলম্ব হচ্ছে। বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আহতদের সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বানও করছি।
তিনি বলেন, সহায়তার ক্ষেত্রে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা আহতদের সঙ্গে সাহায্যকারীদের যোগাযোগ করিয়ে দেবে। তারা কোনো টাকায় হাত দেবে না। এ সময় এম এইচ গ্লোবাল গ্রুপ নামের একটি প্রতিষ্ঠান আহতদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা কর্মসূচি ঘিরে গত ৪ আগস্ট ঢাকাসহ সারাদেশে সরকার সমর্থিত নেতাকর্মী ও পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে শতাধিক নিহতের খবর পাওয়া যায়। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় ১৩ জন ছাড়াও কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জে পৃথক হামলায় হাইওয়ে থানার এক পুলিশসহ মোট ১৪ জন পুলিশ সদস্য নিহত হন।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোটাপ্রথা সংস্কারের দাবিতে গত জুলাইয়ের প্রথম থেকে আন্দোলন করে আসছিলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ অবস্থায় গত ১৫ জুলাই রাজধানী ঢাকাসহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর দফায় দফায় হামলা চালায় ছাত্রলীগ। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমাতে গুলি চালায় পুলিশ।
শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ ও আওয়ামী লীগ এবং দলটির সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের হামলায় কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়। এ অবস্থায় শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ ও আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটার দিকে ক্ষমতা ছেড়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তারপর দেশের দায়িত্ব বুঝে নেয় সেনাবাহিনী।
এরপর গত ৮ আগস্ট রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের ১৭ সদস্যের নাম প্রকাশ করা হয়। এতে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করা হয়।