ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা যদি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন তাহলে সরকার তাদের ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। একই সঙ্গে তিনি হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে ভুয়া কাউকে খুঁজে বের করা হলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
স্বাধীনতার ৫৩ বছরে এসে বীর মুক্তিযোদ্ধার চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করতে সপ্তম দফায় যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বিতর্কমুক্ত ও গ্রহণযোগ্য তালিকা করতে কাজও শুরু করেছে মন্ত্রণালয়। এরই মধ্যে পুনর্গঠন করা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ও বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্ট বোর্ডও নির্বাহী কমিটি।
বিষয়টি নিয়ে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে আসেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও সুবিধা নেয়া জাতির সাথে প্রতারণা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এরই মধ্যে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের শনাক্ত করার কার্যক্রম চলছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ যদি স্বেচ্ছায় নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে তবে সরকার ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবে। আর যদি মন্ত্রণালয় তাদের খুঁজে বের করে তবে প্রতারণার দায়ে কঠোর শাস্তির হুশিয়ারি দেন তিনি। ভুয়া সনদ নিয়ে চাকরি নেয়াদের বিরুদ্ধেও নেয়া হবে ব্যবস্থা।
উপদেষ্টা বলেন, যাচাই-বাছাইয়ের পর যারা দোষী সাব্যস্ত হবেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে চাকরি থেকে অব্যাহতি এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যারা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তারা তালিকায় তালিকাভুক্ত হয়েছেন, যদি স্বেচ্ছায় নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেন তবে শাস্তি পাবেন না।
আসন্ন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবসের প্রস্তুতি নিয়েও কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা। প্রতি বছরের মত এবারও রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়ে দিবসটি উদযাপন করার কথা জানান তিনি। এরই মধ্যে সম্পূর্ণ করা হয়েছে সকল প্রস্তুতি।
বঙ্গভবনের পাশাপাশি সারাদেশের মহানগর, জেলা উপজেলাতে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়ার কথাও জানায় মন্ত্রণালয়। দিনটিকে কেন্দ্র করে দেশের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ দোয়া, এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, হাসপাতাল জেলখানা গুলোতে বিশেষ খাবারের পাশাপাশি সারা দেশের সকল শিশু পার্ক ও জাদুঘর উন্মুক্ত রাখা হবে।
পে অফ।