ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের শনাক্ত ও সনদ বাতিলের জন্য কমিটি গঠন করছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
সূত্রটি জানিয়েছে, স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ না নিয়েও দলীয় ক্ষমতার ব্যবহার এবং বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে জাল সনদ সংগ্রহ করে যারা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রীয় সুবিধা ভোগ করছেন, তাদেরকে শনাক্ত করে তাদের সনদ বাতিল করতে কমিঠি গঠিত হচ্ছে। খুব গোপনীয়তার সঙ্গে এসব কাজ করা হচ্ছে, তবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অনুমতি দিলে তা প্রকাশ করা হবে।
সূত্রটি আরও জানায়, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের শনাক্ত ও সনদ বাতিলে কমিটিটি ৭ সদস্যের হতে পারে। প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন দিলেই কমিটি কাজ শুরু করবে। বিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয় পুনরায় যাচাই-বাছাই করা হবে, সেই সঙ্গে শনাক্ত হওয়া ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করবে কমিটি। এ ক্ষেত্রে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ বাতিল হবে এবং সব সুবিধা থেকে বাদ পড়বেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা শনাক্ত কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত বীর নিবাস নির্মাণ কার্যক্রমও স্থগিত রাখা হয়েছে। কেননা ঘর পাওয়ার পর কোন ব্যক্তি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে শনাক্ত হলে তা নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, তারা প্রতিদিন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ পাচ্ছেন। প্রাথমিকভাবে সেগুলো মন্ত্রণালয়ে জমা রাখা হচ্ছে। পরে এসব বিষয় সিদ্ধান্ত নেবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।