নভেম্বর ১৫, ২০২৪

ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া রাজনৈতিক বিবৃতি ও বক্তব্যকে ভালো চোখে দেখছে না অন্তর্বর্তী সরকার।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) এক সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মো. তৌফিক হাসান সাংবাদিকদের একথা জানান।

মুখপাত্র মো. তৌফিক হাসান বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একাধিকবার বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত ও ভারতীয় সরকারকে বিষয়টি জানিয়েছে। তাদেরকে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময়ে ভারতে চলে যাওয়ার পর সেখানকার বিভিন্ন গণমাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে যে রাজনৈতিক বিবৃতি ও বক্তব্য দিচ্ছেন, সেটি বাংলাদেশ সরকার ভালোভাবে দেখছে না। এ ব্যাপারে সরকারের তীব্র অসন্তুষ্টি প্রকাশের পাশাপাশি সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে এ ধরনের বক্তব্য ও বিবৃতি প্রদান থেকে বিরত রাখার জন্য ভারত সরকারকে আহ্বান জানানো হয়েছে। আমাদের দুই দেশের মধ্যে যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ সেটির জন্য এ ধরনের বক্তব্য থেকে তাকে বিরত রাখাটা অত্যন্ত জরুরি বলে তিনি জানান।

ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনও উত্তর দিয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা যখন বিষয়টি ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের কাছে উত্থাপন করেছিলাম, তখন জানিয়েছেন যে তিনি বিষয়টি তার সরকারের কাছে জানাবেন। আমরা আসলে সত্যিকার অর্থে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও জবাব পাই নাই। তারা বিষয়টি দেখবেন এরকম জানিয়েছেন।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে এবং তাকে ভারত থেকে প্রত্যাবর্তন করানো হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। আমাদেরকে যদি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, তখন আমরা যথাযথ পদক্ষেপ নেবো। কিন্তু আমাদেরকে এ রকমভাবে জানানো হয়নি।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ভারতে কতজন বাংলাদেশি পালিয়ে গেছেন আর তাদের সংখ্যা সরকার জানে কিনা- এমন প্রশ্নে মুখপাত্র বলেন, সত্যিকার অর্থে এ ধরনের কোনো পরিসংখ্যান এই মুহূর্তে আমাদের কাছে নেই।

জুলাই-আগস্টে আহত শিক্ষার্থীদের ভারতে চিকিৎসার বিষয়ে কোনো আলোচনা আছে কিনা- জানতে চাইলে তৌফিক হাসান বলেন, এটি আমাদের জানা নেই। চিকিৎসার জন্য ভারতে যেতে কেউ অনুরোধ করেছেন- এমন কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। কেউ অনুরোধ করেছে কিনা জানা থাকলে হয়তো আমরা চেষ্টা করে দেখতে পারি। এ ব্যাপারে সরকার কোনো অনুরোধ করেনি বলেও জানান মুখপাত্র।

ভারতের ভিসা পাওয়া সংক্রান্ত জটিলতার বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়টি আমরা ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে বারবার বলে আসছি এবং ভারতীয় কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে তাদের লোকবল সংকটের কথা জানিয়েছে। স্বাস্থ্য ভিসা এবং তৃতীয় দেশে যাওয়ার জন্য ভিসা প্রত্যাশীদের বিষয়টি যেন তারা দ্রুত করেন, সে বিষয়টি আমরা তাদেরকে জানিয়েছে এবং রোমানিয়া, বুলগেরিয়া এবং ফিনল্যান্ডে যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের ভিসা পাওয়া সহজ করার অনুরোধ করেছি বলে তিনি জানান।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...